কংগ্রেসের জমানায় চরম উপেক্ষিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন উন্নয়নের ধারা, নাগাল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী

–অঞ্চল এবং ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করে না বিজেপি

কোহিমা, ২৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : অঞ্চল এবং ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করে না বিজেপি। তাই, কংগ্রেসের জমানায় চরম উপেক্ষিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন উন্নয়নের ধারা প্রচন্ড গতি ধরেছে। আজ শুক্রবার নাগাল্যান্ডের কোহিমায় বিজেপি এবং এনডিপিপি-র যৌথ নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসকে বিঁধেছেন। তাঁর কটাক্ষ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কংগ্রেসের রাজত্বে বিভাজনের রাজনীতি চলছিল। কিন্তু, বিজেপি এই অঞ্চলে ঐশ্বরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আজ প্রধানমন্ত্রী দেশে কংগ্রেসের শাসনে কালো অধ্যায়ের দিনগুলি স্মরণ করে নাগাল্যান্ডবাসীকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, কংগ্রেস এবং তার সহযোগী দল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধিকে কখনও ই গুরুত্ব দেয়নি। বরং, বরাবর রাজনৈতিক অস্থিরতা কায়েম রেখেছে। তাঁর দাবি, দিল্লি থেকে রিমোট কন্ট্রোলে রাজ্য পরিচালনা করেছে কংগ্রেস। কারণ, তাঁরা সবচেয়ে পরিবারবাদকে গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি জোর গলায় দাবি করেন, নাগাল্যান্ড সহ সমগ্র উত্তর -পূর্বাঞ্চল কংগ্রেসকে কৃতকর্মের জন্য সাজা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকার সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য দিল্লির রাজনৈতিক চিন্তাধারায় বদল এনেছে। এ-বিষয়ে আবারও কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, অতীতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে এটিএম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কংগ্রেসের নেতারা জনগণের টাকা লুটেপুটে খেয়েছেন। সরকারের টাকা জনগণের কল্যাণে খরচের বদলে দুর্নীতিবাজ নেতাদের পকেটে গিয়েছে। কিন্তু, ১০ বছর আগেও মানুষ ভাবেননি এই পরিস্থিতিরও পরিবর্তন সম্ভব হবে। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার প্রযুক্তির ব্যবহারে দুর্নীতির উপর প্রচন্ড প্রহার করেছে, সুর চড়িয়ে বলেন তিনি।
তাঁর দাবি, বিজেপি উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে এটিএম নয়, অষ্টলক্ষ্মী মনে করে। তাই, ২০১৪ সাল থেকে লাগাতর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এই অঞ্চলের সফর করে চলেছেন। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বাস্তবায়নে মানুষের কল্যাণের খোঁজ রাখছেন। এদিন তিনি বলেন, নিজেদের মানুষের উপর অবিশ্বাস করে দেশ পরিচালনা সম্ভব নয়। সকলকে সমানভাবে সম্মানের মাধ্যমে দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। তাঁর কটাক্ষ, কংগ্রেসের রাজত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিভাজনের রাজনীতি চলছিল। বিজেপি ঐশ্বরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছে। শান্তি, উন্নতি এবং সমৃদ্ধি এই মন্ত্রে নাগাল্যান্ড এগিয়ে চলেছে, যোগ করেন তিনি।
তাঁর দাবি, বিজেপির প্রতি নাগাল্যান্ডের মানুষের ভরসা বাড়ছে। তাই, অনেক যুবক হিংসার পথ ছেড়ে দিয়েছে। নাগাল্যান্ড বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আফসপা সরানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। পাশাপাশি, সীমান্ত সমস্যাও কমেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তির প্রসঙ্গে তিনি ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায়, বহু দশক বাদে ত্রিপুরায় হিংসা ছাড়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে। তা শুধুমাত্র বিজেপির শাসনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, একমাত্র বিজেপি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তির পরিবেশ এনেছে। তাই, বিজেপি এবং এনডিপিপি-র প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী করুণ, আবেদন রাখেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *