কলকাতা, ১৪ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ ধৃত অন্যান্যদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার আইএসএফ-সহ ১৮টি বাম সংগঠনের মিছিল বার হয়। পার্ক সার্কাস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যায় মিছিল। একই দাবিতে সমাবেশ হয় ভাঙড়ে।
মিছিল এদিন দুপুরে এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলার দিকে এগিয়ে যায়। বামপন্থীদের পাশাপাশি আইএসএফ নেতৃত্বদের দেখা যায় এই মিছিলে। তাতে হাঁটতে দেখা যায় বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমের মতো সিপিএম নেতাদের। ভাঙড়-সহ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা সকলেই মিছিলে হাঁটেন।
অংশগ্রহণকারীদের রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত যান। সেখানেই সমাবেশ করার করেন। আজকের মিছিলের মূল দাবি দুটো। এক, ধৃতদের অবিলম্বে মুক্ত দিতে হবে। দুই, যেই পুলিশ এই ঘটনা ঘটাল, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই মিছিলের ডাক ভাঙড়েও হয়েছে।
কড়া বার্তা দিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “নৌশাদ সিদ্দিকিকে টাকার টোপ দিতে এরা কিনতে চেয়েছিল। যখন পারেনি, তখনই পুলিশ হেফাজত চাইছে যাতে মগজধোলাই করতে পারে’। মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘বিরোধী পক্ষের একমাত্র বিধায়ক উনি। ওরা তাঁকে ভয় পাচ্ছে কারণ ওরা বিরোধী কণ্ঠস্বর ভয় পায়। ওরা শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতা চায় যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে ধরবেন। অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী চান যিনি ডেকে নিয়ে রান্নাবান্না করে খাওয়াবেন।’ প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি তেতে উঠেছিল ধর্মতলা অঞ্চল। যার পর গ্রেফতার হন নৌশাদ সিদ্দিকি। তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড় আহত হন ৪জন। আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে পতাকা লাগানোকে ঘিরে সংঘর্ষ বেঁধেছিল।