ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ ফেব্রুয়ারি।। রাজ্য দলের এবারকার মিশ্র ফল সত্যিই হতাশাব্যঞ্জক।প্রথম তিনটি ম্যাচের সঙ্গে শেষ চারটি ম্যাচের ফলাফল যেন রাত দিন ফারাক বর্তমান। বহুলাংশে সেই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরাই অনেকটা হতাশ করেছে। এ বিষয়ে রাজ্যের ক্রিকেট মহল যেমন নাখোশ। তেমনি কর্নেল সিকে নাইডু ট্রফিতে রাজ্য দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে কোচ প্রশিক্ষকরাও খুশি হতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে তিন পয়েন্ট প্রাপ্তি, দ্বিতীয় ম্যাচে মিজোরামকে ইনিংস সহ ৪৪ রানে হারিয়ে বোনাস সহ ৭ পয়েন্ট অর্জন, তৃতীয় ম্যাচে সিকিমকেও ইনিংস সহ ১৫১ রানে হারিয়ে সাত পয়েন্ট অর্জনের সুবাদে তিন ম্যাচের শেষে ১৭ পয়েন্ট পেয়ে ত্রিপুরা দল গ্রুপ শীর্ষে অবস্থান করছিল। চতুর্থ ম্যাচে বাংলার কাছে ছয় উইকেটে পরাজয় দিয়ে অবনমনমুখী ত্রিপুরা আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি। পঞ্চম ম্যাচে মধ্যপ্রদেশের কাছে ২০৮ রানে পরাজয় এবং ষষ্ঠ ম্যাচে রাজস্থানের কাছে ১০ উইকেটে পর্যূদস্ত ত্রিপুরা দলের অবস্থান এবং চেহারা দুটোই পাল্টে দিয়েছে। শেষ ম্যাচে জম্মু-কাশ্মীরের কাছে আড়াই দিনের মধ্যে নয় উইকেটে পরাজয় শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরা দলকে আট দলীয় গ্রুপে ষষ্ঠ স্থানে এনে দাঁড় করিয়েছে। আগামী দিনে রাজ্য দল গঠনের সময় অবশ্যই মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বোলিং লাইন আপেও পেসার-স্পিনারের কম্বাইনেশনে আরও কিছুটা নজর দেওয়া আবশ্যক বলে ক্রিকেট মহলের ধারণা। নিয়ম অনুসারে কোচরাও এ ধরনের রিপোর্ট দেবেন বলেই অনুমেয়।
2023-02-14