“দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া জেলা এখনও শান্তিপূর্ণ “, নির্বাচন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে দক্ষিণ জেলার জেলাশাসক

আগরতলা, ১৩ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া জেলা এখনো শান্তিপূর্ণ রয়েছে। রাজ্যের ত্রয়োদশতম বিধানসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। শেষ সময়ে প্রশাসনের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে আজ দক্ষিণ জেলার জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন নিবন্ধক সাজু ওয়াহিদ নিজ কক্ষে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন । সেখানেই একথা বলেন সাজু ওয়াহিদ

এই সাংবাদিক সম্মেলনে জেলার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রস্তুতি এবং নির্বাচন কমিশনের কি কি নির্দেশিকা রয়েছে তা তুলে ধরেন। আগামীকাল বিকেল চারটে থেকে রাজনৈতিক দলগুলির সড়ক প্রচার শেষ হবে তখন থেকে শুরু হয়ে যাবে ১৪৪ ধারা। ছাড়াও আজ রাত ১০ টা থেকে আগামীকাল ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও ১৪ তারিখ বিকেল চারটে থেকে সমস্ত নাকা পয়েন্টগুলি সিল করে দেওয়া হবে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে এবং চেকিং চলবে। তিনি সকলের কাছে অনুরোধ রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী কাজের জন্য যারা এসেছেন তারা যেন আগামীকাল বিকেল চারটের মধ্যে নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে দেন। এদের মধ্যে জেলার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৯৮ পোলিং স্টেশনের মধ্যে ৩৯৩ টি অনলাইন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পাঁচটি জায়গায় নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে অফলাইন রেকর্ডিং হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের কাজ করার জন্য ২৭২৪ জন ভোট কর্মী এবং ৩১৫ জন মাইক্রো অবজারভার ১৫ তারিখ প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে বলে জানান তিনি। এরই মধ্যে ৫৮৯১ টি পোস্টাল ভোটিং এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়াও ৮০ উর্ধ ৫৭৮ জন ভোটার এবং ১৩৮ জন দিব্যাঙ্গ ভোটারের ভোট ভোট কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিয়ে এসেছেন। জেলার সাতটি নির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যে ২০১ টি ভোট কেন্দ্র কে স্পর্শকাতর এবং তার মধ্যে 36টি ভোট কেন্দ্র কে অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দান সম্পন্ন করার জন্য প্রচুর পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্যের পুলিশ ও টিএসআর নিয়োগ করা হয়েছে।

তিনি জানান দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া জেলা এখনো শান্তিপূর্ণ রয়েছে। সি ভিজিল সহ বিভিন্ন মাধ্যমে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে। নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য কমিশন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংবাদ কর্মীদের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু নির্দেশিকা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও কমিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে যাতে মানুষ অতি সহজে তাদের অভিযোগ জানাতে পারে। এক্ষেত্রে দোষীদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। এক কথায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোট গ্রহণের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।