বিজেপি-র অসততা নিয়ে তোপ অভিষেকের

কোচবিহার, ১১ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : “একটা পঞ্চায়েত জিতেই এই অবস্থা। অথচ কেশপুরে স্বামী-স্ত্রী তৃণমূল করে বলে বাড়ি পর্যন্ত নেয়নি।” শনিবার মাথাভাঙার সভায় এভাবেই বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বলেন,”২০১৮ সালে ১২৭ টি পঞ্চায়েত তৃণমূল জিতেছিল। ১ টি জিতেছিল বিজেপি।সেই পঞ্চায়েত ঘোকসাডাঙা। সেই পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান দীপ্তি দেবী স্বামীর নামে জব কার্ড তৈরি করেছে। স্বামীর নাম রতন বর্মণ, স্বামীর কাকা বিজন কুমার বর্মণ বাংলা আবাস যোজনার নাম লিস্টে নামের জন্য আবেদন করেছেন। আমি মিথ্যা কথা বলছি না। অর্থাৎ একই পরিবারের তিনজনের নামে ঘর। উনি একটা পঞ্চায়েতে জিতেই তিনটে জমি কিনেছে। একটা পঞ্চায়েত জিতেই এই অবস্থা। অথচ কেশপুরে স্বামী-স্ত্রী তৃণমূল করে বলে বাড়ি পর্যন্ত নেয়নি।”

অভিষেক বলেন, “কোচবিহারের একজন যুবক যুবতী বলুক যাঁদের কেন্দ্রীয় সরকার চাকরির নিয়োগ হাতে তুলে দিয়েছে। আমরা দলের আবর্জনা বের করে দিয়েছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল। আর বিজেপি ওনাকে সাংসদ করে পাঠিয়েছে।” পরোক্ষে এই মন্তব্যে তোপ দাগেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ অধিকারীকে।

অভিষেক বলেন, “কেউ যদি বলেন আমি অভিষেকের লোক তাঁকে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করবেন। কেউ আমার লোক নয়। একমাত্র সাধারণ মানুষ আমার লোক। আজ থেকে কোচবিহারের দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে যাচ্ছি।’’

অভিষেক বলেন, ”উত্তরবঙ্গ ইস্যুতে বলেন, “এক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সকলে এসে বলুক তাঁরা আলাদা রাজ্য চায় আমি এরপর থেকে আর মুখ দেখাব না। আমাদের ভাঁওতাবাজির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। আমার উত্তরবঙ্গ কথায় আপত্তি আছে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ-দার্জিলিং থেকে দেগঙ্গা একটাই বঙ্গ সেটা হল পশ্চিমবঙ্গ। আজকের সভার সতঃস্ফুর্ততা চোখে পড়ার মতো। আজকের সভা বিজেপির বিভাজনের বিরুদ্ধে। বাংলা কে ভাঙার চক্রান্তের বিরুদ্ধে এই সভা। অখন্ড বাংলার পক্ষে এই সভা।”