নয়াদিল্লি, ৩১ অক্টোবর (হি.স) : আজ রবিবার রোমে বসতে চলেছে জি-২০-র দ্বিতীয় অধিবেশন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা বলবেন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। এর আগে শনিবার জি-২০ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে স্বাস্থ্য এবং করোনা অতিমারির সঙ্গে লড়াইয়ের বিষয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন মোদী। কোভ্যাক্সিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে ভারতের টিকা সরবরাহ-সহ একাধিক বিষয় উঠেছে আলোচনায়।
রোমের জি ২০-র দ্বিতীয় অধিবেশনের পরে মোদী যাবেন গ্লাসগোয়। সেখানে রবিবার থেকে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ২৬তম ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ’ বসতে চলেছে। যা আদতে জলবায়ু সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিকাঠামোগত সম্মেলন। ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন ২০০টিরও বেশি দেশ। জি-২০ জলবায়ু সংক্রান্ত অধিবেশনকে গ্লাসগোর সম্মেলনে প্রথম পর্যায় বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কেন না জি-২০-র বৈঠকে রাষ্ট্রনেতারা যা বলবেন, তা নিয়ে আলোচনা হবে গ্লাসগোয়।
এই মুহূর্তে বিশ্বের মোট গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের ৮০ শতাংশের জন্য দায়ী পাঁচটি দেশ। চিন, আমেরিকা, ভারত, ব্রাজিল এবং জার্মানি। পাঁচটি দেশই জি-২০-র সদস্য। গ্রিন হাউস গ্যাস জলবায়ু দূষণের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভারত এই গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনে গোটা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে। ভারতের আগে রয়েছে চিন এবং আমেরিকা। গ্লাসগোয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলনে মোদীর উপস্থিতি এবং তাঁর বক্তব্যকে তাই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের কনফারেন্স অব পার্টিজ চলবে ১৩ দিন ধরে। ৩১ অক্টোবর শুরু হয়ে ১২ নভেম্বর শেষ হবে সম্মেলন। রোম থেকে সরাসরি মোদী যাবেন গ্লাসগোয়। মোদীর মতো অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা রোম থেকে সরাসরি গ্লাসগোয় পৌঁছবেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্মেলনে যোগ দিতে।