BRAKING NEWS

ত্রিপুরায় মসজিদে অগ্নিসংযোগের গুজব রটানো হয়েছে, সতর্ক করল ত্রিপুরা পুলিশ

আগরতলা, ২৮ অক্টোবর (হি. স.) : ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই পানিসাগর এবং ধর্মনগরে মসজিদে অগ্নিসংযোগের গুজব ছড়ানো হয়েছিল। ত্রিপুরা পুলিশ এক টুইট বার্তায় ত্রিপুরাবাসীকে সতর্ক করেছে। সাথে জানিয়েছে, গুজব ছড়ানোর ঘটনায় মামলা নিয়েছে পুলিশ। ভূয়ো খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের খোজ শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ত্রিপুরা পুলিশ টুইট-এ দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পানিসাগরের রোয়াবাড়ি এলাকায় চামটিলা জামে মসজিদে দুস্কৃতিকারীরা অগ্নিসংযোগ করেছে বলে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও প্রচারিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রায় ১০টি দোকানে ভাংচুর করা হয়েছে। তাতে, ওই দোকানগুলির ভীষণ ক্ষতি হয়েছে। ওই ভিডিও-র জেরে মুসলিম সম্প্রদায়ের দুস্কৃতিকারীরা হিন্দুদের দোকানে হামলা করেছে। মঙ্গলবার রাতে কদমতলা, প্রেমতলা, চুড়াইবাড়ি এবং ফুলবাড়ি এলাকায় কয়েকটি হিন্দুদের দোকানে ভাংচুর করা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে চুড়াইবাড়িতে। ওইদিন রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ চুড়াইবাড়িতে একদল মুসলিম দুষ্কৃতিকারী প্রথমে রেলওয়ে ট্রাই জংশনের হিন্দু দোকানপাট এবং স্বরূপ সাহার দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তারপর ধীরে ধীরে আক্রমণকারীরা অন্যত্র চলে যাওয়ার পর একই কায়দায় একদল হিন্দু দুষ্কৃতিকারী ঘটনাস্থলে এসে মুসলিম দোকানপাটে হানা দিয়েছে। অবশ্য তখন ঘটনাস্থলে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফ্রান্সিস ডারলং এবং চুড়াইবাড়ি থানার ওসি সহ বিশাল পুলিশবাহিনী ছুটে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের পেট্রোলিং গাড়ি রাতভর টহল দিয়েছে। তাছাড়া ওইদিন রাতেই ধর্মনগর মহকুমা শাসক কমলেশ ধর ১৪৪ ধারা জারি করেন। বুধবার সকালে কদমতলা, চুড়াইবাড়ি এলাকায় প্রচুর পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পানিসাগরেও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত ওই দুইটি মহকুমায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
ত্রিপুরা পুলিশ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, পানিসাগরে চামটিলা জামে মসজিদে অগ্নি সংযোগের কোন ঘটনা ঘটেনি। অন্য রাজ্যের ভিডিও ত্রিপুরায় সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, মুসলিম ত্রিপুরায় নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন, এমনই ভাবাবেগে টুইটারে প্রচার চালানো হয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশ রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেছে, সমস্ত গুজব এড়িয়ে চলুন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়, এমন কোন বার্তায় ভরসা করবেন না। বরং এধরনের বার্তা পুলিশের নজরে আনুন।
ত্রিপুরা পুলিশ আরো জানিয়েছে, গুজব ছড়ানোর ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ভূয়ো খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের খোজ শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *