নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ সেপ্টেম্বর ।। মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ অসহায় স্বামী। মহিলারাই যে শুধু পুরুষদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তা কিন্তু নয়,এখন মহিলাদের দারাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন পুরুষ, কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্তায় এই ঘটনা কতোটুকু গ্রহন যোগ্য তা স্বাভাবিক ভাবে বোঝা যায় ,মহিলাদের জন্যে মহিলা কমিশ থাকলেও পুরুষদের জন্যে নেই কোন পুরুষ কমিশন। দেশ জুড়ে মহিলা কমিশনের ব্যবস্তা থাকলেও পুরুষরাও যে নির্যাতনের শিকার হতে পারে ,পুরুষদের সুরক্ষা ক্ষেত্রে ও যে আইন দরকার সেই বিষয়ে কেউ ভাবে না বলাই বাহুল্য ।
প্রসঙ্গত উত্তর জেলার পানিসাগর থানাধীন উত্তর পদ্মবিল, লম্বাটিলা বিষ পড়িবার এলাকার বাশিন্দা মাহিবুর রহমান তার স্ত্রী শিল্পি খাতুনের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ২০১১ সালে ধর্মনগর রাজবাড়ি দূর্গাপুর এলাকার বাশিন্দা সাহানুর মিয়ার কন্যা শীল্পি খাতুনের সাথে বিয়ে হয়েছিল মাহিবুর রহমানের । বর্তমানে তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। মাহিবুর পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বিয়ের পর বছর ২ এক ভালোভাবে কাটলেও তারপর থেকেই শীল্পির নির্যাতনেরত শিকার হতে হচ্ছে মাহিবুরের।মাহিবুরের স্ত্রী শিল্পির যখনই ইচ্ছে হত সে পদ্মবিল স্বামীর বাড়ি ছেরে ধর্মনগরে চলে আসত। ঘরের কোন কামে কাজে মন দিত শীল্পি, সারাদিন ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। বিয়ের পর কম হলেও ১৬-১৭ বার ঘর ছেড়ে ধর্মনগরে বাপের বাড়িতে চলে যায় শীল্পি, পরবর্তিতে মাহিবুর নতজানু হয়ে তার স্ত্রীকে ফিরে নিয়ে যেত বাড়িতে।
তখন শিল্পীর বাড়ির তরফ থেকে মাহিবুরের কাছে বিভিন্ন সর্ত রাখা হত , টাকা পয়সা,জিনিসপত্র দিতে হবে শীল্পি কে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে হলে, এমন কি তাকে দিয়ে কোর্টে বিভিন্ন এগ্রিমেন্ট ও করানও হত। অবশেষে ২০১৯ মহাবুরের অনুপস্থিতেঘরের সকল জিনিসপত্র টাকা পয়সা নিয়ে শিল্পি বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সেই সময়ও মাহিবুর শিল্পি কে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে গেলে মাহিবুর কে জানানো হয় শিল্পি আর ফিরে যাবে না , ডিভোর্স দিয়ে দেবে তার জন্যে মাহিবুর কে ধর্মনগরে জায়গা ক্রয় করে বাড়ি বানিয়ে দিতে হবে, বাড়ির সব জিনিসপ্ত্র দিতে হবে , এছারাও নগদ প্রচুর টাকা দিতে হবে। তাদের ২ সন্তান কেও শিল্পীর কাছে রাখতে হবে, এই সব সর্ত শুনে মাহিবুরের মাথায় ত যেমন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। এদিকে ত মাহিবুর দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল তারউপর আবার এই অর্থ এবং বাড়ি দাবি। বাধ্য হয়ে অসহায় মাহিবুর রহমান এবার মহিলা ককমিশন সহ পানিসাগর থানা থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রধানেরও দারস্থ হয়েছে। সকলের কাছেই সে ন্যায় বিচারের জন্যে আর্জি জানিয়েছে। এক সাক্ষাৎ কারে সংবাদ প্রতিনিধিদের এই সকল ঘটনা জানিয়েছে মাহিবুর রহমান।