Alligation against TRBT : তুঘলকি কান্ডে কলংকিত টিআরবিটি, পরীক্ষা দিতে না পেরে হাউমাউ করে কাঁদল প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ সেপ্ঢেম্বর৷৷ শিক্ষক পদে চাকুরী পরীক্ষা নিয়ে একের পর এক এনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেই চলেছে৷ সম্প্রতি এসটিজিটি পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল৷ অনুরূপ ঘটনা ঘটল টেট-ওয়ান পরীক্ষার ক্ষেত্রেও৷ রবিবার টিআরবিটি পরিচালিত টেট-ওয়ান পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল৷ ওই পরীক্ষা বসতে পারেননি প্রায় পনেরজন প্রার্থী৷ রাজধানী আগরতলা শহরের কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত হতে না পারায় পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার ঘটনায় প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভেরও সঞ্চার হয়েছে৷ এক্ষেত্রে অনেকেই টিআরবিটি কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন৷ বারটা থেকে পরীক্ষা শুরুর সময় নির্ধারিত থাকলেও সাড়ে এগারটা কিংবা পৌণে বারটা নাগাদ পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হলেও প্রার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি৷ এই ঘটনায় চাকুরীর পরীক্ষা দিতে আসা প্রার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রের গেইটের সামনেই হাওমাও করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷


সংবাদে প্রকাশ, পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী রবিবার টিআরবিটি পরিচালিত টেট-ওয়ান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ দুপুর বারটা থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে৷ রাজধানী আগরতলা শহরের বিভিন্ন সুকল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পরীক্ষা কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ শহরের কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের বিলম্বে উপস্থিতির ঘটনা সামনে এসেছে৷ জানা গিয়েছে, শহরের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সাড়ে এগারাটা নাগাদ প্রার্থীরা উপস্থিত হলেও পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি৷ অনেকে অবশ্য পৌণে বারটা নাগাদও পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেন৷ এমন সংখ্যাটা প্রায় পনের৷ তাদের অভিযোগ পরীক্ষা শুরুর সময় হচ্ছে বারটা৷ আধঘন্টা কিংবা পনের মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছার পরও তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি৷ পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা পুলিশকে বলে দিয়েছে কোনও ভাবেই যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া হয়৷


পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ঘটনায় প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়৷ তারা বাধ্য হয়ে টিআরবিটি অফিসে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন৷ টিআরবিটি অফিস থেকে বলা হয়েছে সাড়ে এগারটার পর কাউকেই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না৷ প্রার্থীদের তরফ থেকে অনেক অনুরোধ করা হলেও প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি৷ প্রার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজন আছেন গর্ভবতী মহিলা যারা দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন৷ রাস্তায় আসার ক্ষেত্রে যানবাহনের সমস্যা হয়েছে৷ আবার একজন প্রার্থী দূর্ঘটনার শিকার হয়ে কোনও রকমে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছেন৷ নানা সমস্যা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা সর্বোচ্চ পৌণে বারটার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেন৷ তারপরও তাদের পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয়নি৷ এই বিষয়টিকে কোনওভাবেই প্রার্থীরা মেনে নিতে পারছেন না৷ তাদের আরও অভিযোগ, টিআরবিটি কর্তৃপক্ষের তুঘলকি সিদ্ধান্তের ফলে অনেক প্রার্থীর জীবন সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে৷ এদিকে, কিছুদিন পূর্বে আগরতলায় বয়েজ বোধজং সুকলে বারটা বাজার কয়েক মিনিট আগেও প্রার্থীদের এসটিজিটি পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয়েছে৷ সেদিন অবশ্য এক মিনিটের জন্য একজন মহিলা প্রার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয়নি৷ এই ধরনের ঘটনা টিআরবিটির বিরুদ্ধে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে৷


এদিকে, টিআরবিটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ অফিকে কর্মসংসৃকতি লাটে উঠেছে৷ সংবাদপত্র সহ বিভিন্ন বিভাগের তরফ থেকে চিঠি দিলেও কোন টিআরবিটি কর্তৃপক্ষ চিঠির উত্তর দেওয়ার মতো কোন প্রয়োজনীয়তা বোধ করে না৷ এক্ষেত্রে জনমনে ক্ষোভের পাহাড় জমছে৷ বছরে চাকুরী পরীক্ষা আয়োজন করতে গিয়েই যেন টিআরবিটির কালঘাম ছুটে যায়৷ তার উপর তুঘলকি কান্ড ঘটিয়ে চলছে দিনের পর দিন৷