নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর।। উত্তর ত্রিপুরা জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে গরু পাচার অব্যাহত রয়েছে।বছো নামের এক পাচারকারীর দৌলতেই অন্তঃরাষ্ট্রিয় গরু পাচার চক্র সক্রীয় রাজ্যে। এই চক্রের সাথে মাদক কারবারি থেকে শুরু করে বেআইনি অস্ত্র পাচারকারিদেও যোগাযোগ রয়েছে । অন্তঃরাষ্ট্রীয় গরু পাচার চক্রের সদ্দার ফটিকরায়ের “বছো” দীর্ঘদিন ধরে এই পাচার বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। দীর্ঘ দিন ধরে ‘বছো’ পাচার বাণিজ্যের সাথে যুক্ত থাকায় এখন সে আঙুল ফুলে কলা গাছে পরিণত।একাংশ পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে
কয়েকজন আধিকারিকদের সাথেও তার গোপনে নগদ নারায়ণের যোগাযোগ রয়েছে। গরু পাচার চক্রের সাথে যুক্ত গাড়ি চালক থেকে শুরু করে থানার পুলিশ সকলেই এই গল্প শুনেছেন।
প্রসঙ্গত ফটিক্রায়ের বছো এই গরু পাচারের সরদার হয়ে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে।আর সেই টাকার ভাগ বাটুয়ারা পাচ্ছেন অনেকেই।
সরদার বছো মুলত উত্তর জেলাকে তার পাচার বাণিজ্যের করিডর করে তুলেছে। উত্তর জেলার বিভিন্ন গরু বাজার থেকে সে শত শত গরু ক্রয় করে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে ছোট ছোট বলেরো গাড়িতে করে ফটিকরায়ে নিয়ে যায় তার বাড়িতে ।ফটিকরায়ে বছোর বাড়িতে প্রতিদিন ১ হাজারেরও বেশি গরু মজুত থাকে ,সেই গরু গুলি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সীমানা হয়ে বাংলাদেশে পাচার করে বছোর সহযোগীরা। পুলিশ যে এই বিষয়ে কিছু জানে না তা নয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই পাচার বাণিজ্য চালিয়ে আসছে বছো।এছারাও রোজ রাতে মিজোরাম থেকে দামছড়া হয়েও শত শত গরু রাজ্যে, বলেরো গাড়ি করে নিয়ে আসছে ফটিকরায়ের বছো। সেই পাচারের টাকা বিভিন্ন অসামাজিক কাজেও লাগানো হচ্ছে বলে খবর ।, যেমন মাদক পাচার ,বেআইনি অস্ত্র পাচার ইত্যাদি ।পুলিশ যেখানে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের ভুমিকায় সেখানে একটি স্বস্তির খবর হচ্ছে এই গরু পাচার চক্রের বিরুদ্ধে অনেকটাই তৎপর হয়ে উঠেছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহীনির জওয়ানরা। প্রতিদিন রাতে বাংলাদেশে গরু পাচার কালে বি এস এফ জওয়ানরা প্রচুর গরু আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। বি এস এফ পানিসাগর হেড কোয়াটারের ডি আই জি রাজিভ দুয়া সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর ভুমিকা সম্বন্ধে কি বলছেন এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।গরু পাচার রোধে পুলিশ কার্যত কঠোর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সক্রিয় হলে এভাবে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে বেআইনিভাবে গরু পাচার করা সম্ভব হতো না বলেও বিভিন্ন মহলের অভিমত।