New president of pradesh Congress : প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হচ্ছেন বীরজিত সিনহা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ সেপ্ঢেম্বর ৷৷ ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদল হচ্ছেন৷ নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন প্রাক্তন বিধায়ক বীরজিত সিনহা৷ তিনি পীযুষ কান্তি বিশ্বাসের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন৷


প্রসঙ্গত, রাজ্যে কংগ্রেস সাইনবোর্ড সর্বস্বে পরিণত হয়েছে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের আস্ফালনে একের পর এক কংগ্রেস নেতা দলবদল করছেন৷ ফলে, রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন ধরে রাখাই দায় হবে৷ গত লোকসভা নির্বাচনে শাসক দল বিজেপিকে বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভাল টক্কর দিয়েছিল কংগ্রেস৷ তখন শতবর্ষ প্রাচীন ওই দলে প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন, সুবল ভৌমিকদের মতো নেতারা ব্যাটন সামলেছেন৷ এছাড়াও, প্রাক্তন বিধায়ক তাপস দে, দলের প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক বাপ্ঢু চক্রবর্তী সহ আরো অনেকেই কংগ্রেসের হাল ধরে রেখেছিলেন৷ বিশেষ করে যুব সংগঠনে লড়াকু মেজাজের তরুণ নেতৃত্ব রাজ্যে দাপিয়ে বেড়িয়েছে৷ কিন্ত, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কংগ্রেসে দলবদলের হিড়িক পড়েছে৷


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি নিয়ে দলের সাথে দুরত্ব তৈরী হওয়ায় প্রদ্যুত কিশোর সভাপতির পদের সাথে কংগ্রেস থেকেও ইস্তফা দেন৷ তিনি নতুন দল গঠন করেন৷ সেই দল এডিসি নির্বাচনে শাসক দল বিজেপিকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে৷ প্রদ্যুতের ইস্তফার পর প্রদেশ কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় আইনজীবী পিযুষ কান্তি বিশ্বাসকে৷ তাঁর ছেলে পূজন বিশ্বাস দায়িত্ব পান যুব কংগ্রেসের৷ ফলে, রাজ্যেও কংগ্রেসে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ এনে একের পর নেতা দুরত্ব তৈরী করেন৷


সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের নজর পড়েছে ত্রিপুরায়৷ তৃণমূল রাজ্যে পা রাখতেই সুবল ভৌমিক, প্রকাশ দাস থেকে শুরু করে বহু শীর্ষ কংগ্রেস নেতা দলবদল করেন৷ কংগ্রেসের যুব সংগঠনেও তৃণমূল থাবা দিয়েছে৷ ফলে, কংগ্রেস ক্রমশ সাইনবোর্ডে পরিণত হচ্ছে৷ এদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে আইনজীবী পীযুষ কান্তি বিশ্বাস পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন৷ পরিস্থিতি বুঝে কংগ্রেস হাইকমান্ড তাঁকে বুঝিয়ে পদত্যাগ প্রত্যাহার করিয়েছিল৷ কিন্ত, শীর্ষ নেতৃত্ব উপলব্ধি করেছেন, ত্রিপুরায় নেতৃত্বের বদল না হলে মরা গাঙ্গে পাল তুলতে পারবে না কংগ্রেস৷
তাই, প্রদেশ কংগ্রেসের ব্যাটন তুলে দেওয়া হচ্ছে প্রবীণ নেতা বীরজিত সিনহার হাতে৷ তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের নয়া সভাপতি হচ্ছেন৷ তবে, কংগ্রেস হাইকমান্ডের ওই সিদ্ধান্তে ত্রিপুরায় দলের হাল কতটা ফিরবে, তা অনুমান করতে পারছে না রাজনৈতিক মহল৷