Examinations will be held in two phases : অতিমারির প্রভাব, কেন্দ্রীয় অনুসরণে মাধ্যমিক ও দ্বাদশের পরীক্ষা দুই পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ সেপ্ঢেম্বর৷৷ অতিমারির প্রভাবে কেন্দ্রীয় বোর্ডের অনুসরণে ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষে নতুন স্কিমের অন্তর্গত ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মাধ্যমিক ও দ্বাদশের পরীক্ষা দুটি পর্যায়ে আয়োজন করবে৷ ওই পরীক্ষা ২০২১ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২২ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে৷ দুই পর্যায়ে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের চূড়ান্ত মূল্যায়ন হবে৷ আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষা দফতরের ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷


এদিন তিনি বলেন, শিক্ষা দফতর এবং ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা যৌথভাবে আজ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন৷ ওই বৈঠকে ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষে মাধ্যমিক এবং দ্বাদশের পরীক্ষা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ তিনি জানান, ত্রিপুরায় ১০৬৪টি হাইসুকল এবং ৪১৫টি উচ্চ বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে নতুন স্কিমের অধীনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে৷ তাঁর কথায়, কেবলমাত্র চলতি শিক্ষা বর্ষে ওই স্কিমের অধীনে পরীক্ষা নেওয়া হবে৷


তাঁর বক্তব্য, করোনার তৃতীয় ঢেউ-এর প্রকোপ সম্পর্কে আমরা এখনই কিছু আন্দাজ করতে পারছি৷ ২০২০ এবং ২০২১ সালে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে৷ ফলে, মাধ্যমিক এবং দ্বাদশের পরীক্ষার জন্য ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কেন্দ্রীয় বোর্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ চলতি বছরের ডিসেম্বর এবং ২০২২ সালের এপ্রিলে দুই পর্যায়ে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে৷
তিনি বলেন, অতিমারির কারণে এমনিতেই ৩০ শতাংশ পাঠ্যক্রম কমানো হয়েছে৷ ফলে, প্রথম পর্যায়ে ৩৫ শতাংশ পাঠ্যক্রম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৫ শতাংশ পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ উভয় পর্যায়ের পরীক্ষা বার্ষিক পরীক্ষা হিসেবে গণ্য হবে৷ তবে, দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে৷ তাঁর বক্তব্য, ডিসেম্বরের পর করোনার প্রকোপ বাড়লে প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে৷ তাঁর দাবি, উভয় পর্যায়ের পরীক্ষা বাস্তবে পরীক্ষার্থীদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ৷


তিনি বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা ৫০ নম্বরের হবে৷ তার মধ্যে ৪০ নম্বর প্রশ্ণ-উত্তর এবং ১০ অন্তর্বর্তী মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত থাকবে৷ তবে, বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ণ-উত্তর ৩৫ নম্বর এবং প্র্যাকটিক্যালের জন্য ১৫ নম্বর নির্ধারিত থাকবে৷ তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা স্ব স্ব বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই অন্য বিদ্যালয়ের পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন৷ তাঁর কথায়, প্রশ্ণপত্র ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৈরি করে দেবে৷ পরীক্ষার্থীদের ১ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে অবশ্যই ফর্ম জমা দিতে হবে৷


শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার বিষয়ে স্থায়ী সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি৷ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে তবেই ওই পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, অফলাইনে ওই পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ বর্তমানে দশম শ্রেণিতে ৪৬ হাজার এবং দ্বাদশে ২৮ হাজার ছাত্রছাত্রী রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *