নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ সেপ্টেম্বর।। করোনার প্রকোপ কিছুটা কমতেই বহি রাজ্য থেকে ফেরিওয়ালা, লেপ তোষক তৈরি করার কাজে যুক্ত লোকজনরা রাজ্যে আসতে শুরু করেছে। রাজ্যে ব্যবসা করে তারা বেশ আয় উপার্জন করে বলে জানিয়েছে।
রুটি রোজির সন্ধানে ভিন্ন রাজ্যের যুবকরা ত্রিপুরা রাজ্যে আসছে শুরু করেছে। তাদের উদ্দেশ্য কমিশনের মাধ্যমে আয় উপার্জন করা। আবার অনেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে এসে বিক্রি করে আয় উপার্জন করে থাকে। বিহার রাজ্য থেকে ৮ যুবক প্রথমে আসে রাজধানী আগরতলা শহরে । আগরতলার জনৈক ব্যাবসায়ী তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে রাজ্যে এনেছে। ওইসব যুবকরা রাজধানী থেকে তেলিয়ামুড়া গামাইবাড়ি এলাকায় এসে আস্তানা গেড়ে বসে। তাদের কাজ হলো সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্ধি গ্রামে গ্রামে ঘুরে লেপ ও বালিশ তৈরি করে দেওয়া । এর বিনিময়ে ওইসব যুবকরা রাজধানীর জনৈক ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে কমিশন পায়।
এটাই হল তাদের আয়-উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। ওইসব যুবকরা দেড়মাস হয়েছে রাজ্যে এসেছে। তারা এ রাজ্যে থাকবে পুরো শীত মরশুম পর্যন্ত। আর বর্ষাকালে ওইসব যুবকরা ফের তাদের নিজের রাজ্য বিহারে চলে যায়। এমন প্রচুর সংখ্যক বিহারী যুবক এ রাজ্যে এসেছে। তারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে লেপ ও বালিশ তৈরি করে দেয় অর্থের বিনিময়ে। কিন্তু তারা কেবল পায় কমিশন।এতে তারা খেয়ে বেঁচে থাকার পাশাপাশি বাড়িঘরেও টাকা পাঠাতে পারে বলে জানায় ওই সব যুবকরা। লেপ-তোষক তৈরি করতে আসা ঐসব যুবকরা প্রতি বছরই এই মরশুমে রাজ্যে আসে বলে জানিয়েছে। এখান থেকে তারা যা রোজগার করে তার দিয়ে সারা বছর সংসার চালায় বলেও তারা জানায়।