Rural program manager arrested : মহিলার শ্লীলতাহানির দায়ে গ্রেপ্তার পঞ্চায়েতের রুরাল প্রোগ্রাম মেনেজার

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ২ সেপ্ঢেম্বর৷৷ পঞ্চায়েত অফিসে প্রয়োজনীয় কাজে আসা এক মহিলার একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে বলপূর্বক শ্লীলতাহানীর অভিযোগে গ্রেপ্তার পঞ্চায়েতের রুরাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার (আরপিএম)৷ধৃত আর পি এম এর নাম প্রদীপ দাস৷ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ৷ নিগৃহীতার তরফ থেকে ধর্মনগর মহিলা থানায় মামলা রুজু৷ ঘটনা বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের জৈথাং এডিসি ভিলেজে৷ধৃত আর পি এম প্রদীপ দাসকে আগামীকাল জেলা আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ৷


ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জৈথাং এডিসি ভিলেজের আরপিএম প্রদীপ দাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ মহিলা সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ ছিল৷প্রদীপ দাস যেখানেই পোস্টিং হয়ে যান না কেন, সানীয় মহিলাদের টার্গেট করা সহ কুপ্রস্তাব ও অশালীন আচরণের অনেক অভিযোগ ছিল পূর্বের৷ কিন্তু বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের জৈথাং এডিসি ভিলেজের আরপিএম হয়ে আসার পর সেই পুরনো বদ অভ্যাস পিছু ছাড়েনি তাকে৷ সানীয় এডিসি ভিলেজে আসা মহিলাদের কুপ্রস্তাবও দিত বলে অভিযোগ৷ প্রদীপ দাসের বদ মতলবের ভয়ে সানীয় মহিলারা একাকীত্ব ভাবে সানীয় ভিলেজে যেতেন না৷


কিন্তু আজ বছর বত্রিশের উপজাতি মহীলা নিজের প্রয়োজনীয় কাজে দুপুর বেলা জৈথাং এডিসি ভিলেজে যান৷তখন সানীয় পঞ্চায়েতে শুধু মাত্র আরপিএম প্রদীপ দাস অবসান করছিলেন৷ পঞ্চায়েতে আসা মহিলা যখন পঞ্চায়েত অফিসে বসে কথা বলছিলেন ঠিক তখন প্রদীপ দাস বদমতলব এঁটে ঐ মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেয়৷ মহিলা প্রদীপ দাসের কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ করা মাত্রই মহিলার উপর ঝাপিয়ে পড়ে প্রদীপ দাস, বলে মহিলার অভিযোগ৷ পঞ্চায়েত অফিসে একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে আরপিএম প্রদীপ দাস ওই মহিলার উপর শ্লীলতাহানি করে৷ তখন নিরুপায় হয়ে নিগৃহীতা মহিলা নিজের ইজ্জত বাঁচাতে চিৎকার চেচামেচি করলে ছুটে আসেন আশপাশের জনগণ৷ সানীয় জনগন পঞ্চায়েত অফিসে এসে নরপিচাশ আরপিএম প্রদীপ দাসের হাত থেকে মহিলাকে উদ্ধার করেন৷


খবর দেওয়া হয় বাগবাসা আউট পোস্টে৷ বাগবাসা আউট পোস্টের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত প্রদীপ দাসকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে৷ তারপর বাগবাসা আউট পোস্টের পুলিশ ধৃত প্রদীপ দাসকে তুলে দেয় ধর্মনগর মহিলা থানায়৷ এদিকে নিগৃহীতা মহিলা ধর্মনগর মহিলা থানায় লিখিত ভাবে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ দায়ের করেন৷ ধর্মনগর মহিলা থানার পুলিশ ৩৩ নম্বরের সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷ আগামীকাল প্রদীপ দাসকে ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷অপরদিকে স্থানীয় জৈথাং এলাকা থেকে জোরালো দাবি উঠছে প্রদীপ দাসের কঠোর শাস্তির৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *