BRAKING NEWS

সন্দেহের জেরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে আকাঙ্খাকে, জেরায় স্বীকার করল উদয়ন

muder photoভোপাল, ৩ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : প্রেমিকা অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত| এই সন্দেহের বেশই আকাঙ্খাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ট্রাঙ্কে পুরে সিমেন্ট দিয়ে কংক্রিটের বেদি বানিয়ে দিল উন্মাদ প্রেমিক| প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা সেই ট্রাঙ্ক| ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় দশ বস্তা সিমেন্ট| বাঁকুড়ার মেয়ে আকাঙ্খা শর্মার খুনে প্রধান অভিযুক্ত উদয়ন দাসকে গ্রেফতারের পর জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ| উদয়নকে জেরা করে জানা গেছে, আকাঙ্খা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর| তাদেরকে সে নিজের ঘরেও নিয়ে আসত | মাঝেমধ্যেই এই নিয়েই আকাঙ্খার সঙ্গে ঝামেলা হয় উদয়নের |
অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী পরিবারেরই ছেলে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ | কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসার বলেই নিজেকে সবসময় দাবি করত উদয়ন | এমনকী, টাকা নিয়েও ঝামেলা হয় উদয় ও আকাঙ্খার মধ্যে | বরাবরই বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত উদয়ন | বিলাসবহুল গাড়িতে চড়েও ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত তাকে | তবে উদয়নের আচরণ স্বাভাবিক নয় বলেই জানিয়েছেন স্থানীয়রা | তার ঘরে বিভিন্ন দেশের পতাকাও পাওয়া গেয়েছে | সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও চ্যাট বা চ্যাটিংয়ের সময় উদয়ন তার বান্ধবীদের জানাত, যে সে বিদেশ থেকে অনলাইন | এছাড়া গাড়িতে ঘোরার সময় পাশের সিটে একটা টেডি বিয়ারকে সিট বেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখত সে| উদয়নের যেমন একাধিক নারীসঙ্গ ছিল, তেমনি আকাঙ্খাও এর মধ্যে অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানতে পেরেছিল উদয়ন | এর জেরেই দুজনের মধ্যে বচসা হয়| বিশাল নামে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আকাঙ্খা বলেই পুলিশকে জেরায় জানিয়েছে উদয়ন |
বচসার পর শ্বাসরোধ করেই আকাঙ্খাকে খুন করে উদয়ন| এরপর বান্ধবীর দেহ চৌবাচ্চায় রেখে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে| পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে উদয়ন দাস| ২০১৫-এ বাঁকুড়ার আকাঙ্খা শর্মার সঙ্গে ফেসৱুকে আলাপ হয় ভোপালের উদয়ন দাসের| আমেরিকায় চাকরি পাওয়ার নাম করে গত বছর জুন মাসে বাড়ি ছাড়েন আকাঙ্খা| ভোপালে গিয়ে উদয়ন দাসের সঙ্গে লিভ ইন শুরু করেন| গত বছর ডিসেম্বরে হঠাত্ই বাড়ির সঙ্গে আকাঙ্খার ফোনে যোগাযোগ বন্ধ হয়| তবে ফেসৱুকে নিয়মিত বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন আকাঙ্খা| এমনকী পুরনো ছবি, ফের ফেসৱুকে পোস্টও করেন তিনি| আকাঙ্খার আ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকবার টাকাও তোলা হয়| এতেই সন্দেহ হয় তাঁর পরিবারের| বাঁকুড়া পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা| শেষবার ভোপালের সাকেতনগরে আকাঙ্খার মোবাইল টাওয়ার ট্র‌্যাক করে পুলিশ| বাঁকুড়া জেলা পুলিশের বিশেষ দল ভোপাল যায়| মোবাইল ও ফেসৱুকের সূত্রে উদয়ন দাসের খোঁজ পায় পুলিশ| তাকে জেরা করেই আকাঙ্খার হদিশ মেলে|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *