নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলাসাগর, ১৫ জানুয়ারি৷৷ এত অভিযানের পরেও রয়ে গেছে অনেক অনেক গাঁজা বাগান৷ বিশালগড় মহকুমার শাসক ও মহকুমার পুলিশ আধিকারিকের কয়েক দফা গাঁজা অভিযানের পরেও রয়েছে হাজার হাজার গাঁজা বাগান৷ দীর্ঘদিন ধরে বিশালগড় মহকুমার শাসক ও মহকুমার পুলিশ আধিকারিকের যৌথ উদ্যোগে বক্সনগর, কলচৌড়া, কোনাবন, হরিহরদোলা, কমলাসাগর প্রভৃতি অঞ্চলে দফায় দফায় গাঁজা অভিযান চালিয়ে লক্ষ লক্ষ গাঁজা বাগান ধবংস করা হয়েছিল৷ কিন্তু গাঁজা চাষিদের মধ্যে কিছু চাষিদের মাথায় হাত পরিয়েছে৷ তারপরেও আরো লক্ষ লক্ষ বাগান রয়ে গেছে সেগুলি এখন পুলিশের নাগালের বাইরে৷ জানা যায়, গাঁজা চাষিদের কাছ থেকে কিছু এলাকার মাফিয়ারা চাঁদা তুলছে৷ প্রতি গাঁজা গাছে ২০ টাকা করে৷ গাঁজা চাষিদের হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ যদি চাঁদা না দেওয়া হয় তাহলে পুলিশ বাহিনী দিয়ে গাঁজা বাগান ধবংস করা হবে৷ এমনভাবে প্রত্যেক গাঁজা চাষিদের কাছ থেকে টাকা তোলা হচ্ছে৷ জানা যায়, দেবীপুর ব্রজেন্দ্রনগর কেনানীয়া এসব জায়গা থেকে চাঁদা তুলছে৷ পুলিশের নাম করে চাঁদা তুলছে এলাকার মাফিয়ারা৷ খবরটি পুলিশের কাছে অবধি পৌঁছে গেছে৷ কিন্তু তারপরও গাঁজা বাগানগুলি পুলিশের নাগালের বাইরে চলে গেছে৷ আইনের চোখে সবাইকে সমান ভাবে দেখা যায়৷ কিন্তু যারা গাঁজা চাষ করছেন তারা সবাই সমান অপরাধী৷ যারা গাঁজা বাগানে টাকা দিচ্ছে তাদের গাঁজা গাছগুলি ধবংস করা হচ্ছে না৷ যারা চাঁদা দিতে পারছে না তাদের গাছগুলি ধবংস করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে গাঁজা চাষীদের মধ্যে৷ এলাকার অধিকাংশ চাষিদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ বলছে পুলিশ গাঁজা বাগান দেখেও কাটছে না গাঁজা গাছগুলি এই গাঁজা চাষিদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা চলছে৷
2017-01-16