নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো রকম ভেদাভেদ রাখা চলবে না ঃ রাষ্ট্রপতি

Mahila৷৷ অভিজিৎ রায়চৌধুরী৷৷ নয়াদিল্লি, ৫ মার্চ৷৷ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি শনিবার মহিলা জনপ্রতিদিনধিদের নিয়ে নয়াদিল্লিতে মহিলা জনপ্রতিনিধি সক্ষম ভারতের নির্মাতা শীর্ষক প্রথম সম্মেলনের উদ্বোধন করেন৷
এই উপলক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতের সংবিধানে নারী ও পুরুষের জন্য সমান অধিকারের সংস্থান রয়েছে৷ সংবিধানে একথাও মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই রাষ্ট্রে কোনো সরকারি দপ্তরে নিয়োগ অথবা কর্মসংস্থান সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো রকম ভেদাভেদ রাখা চলবে না৷ তিনি বলেন, মহিলাদের উন্নতি ও ক্ষমতায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দিয়ে ১৯৯৩-এর ভারতের সংবিধানে সংশোধনী আনা হয়৷ সংবিধানের অনুযায়ী প্রতিটি পঞ্চায়েত অথবা পুরসভায় মহিলাদের জন্য কম করেও এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত রাখার সংস্থান রাখা হয়েছে৷ এছাড়াও এই সংশোধনী ক্রমে পঞ্চায়েত অথবা পুরসভাগুলিতে চেয়ারম্যান পদ মহিলাদের মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের মাধ্যমে ইতিবাচক ব্যবস্থা৷ রূপায়নের দ্বারা মহিলা প্রতিনিধিদের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বস্তুত, আজ দেশের পঞ্চায়েতগুলি মহিলাদের প্রতিনিধিত্বের হার ৫০ শতাংশ এরও বেশি৷ দেশের স্থানীয় প্রশাসনগুলিতে মহিলা প্রতিনিধিত্বের এই প্রাসঙ্গিক বৃদ্ধির বিষয়টি ভারতীয় সমাজে নারীর ক্ষমতায়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ তিনি প্রশ্ণ তুলে বলেন, প্রতিনিধিত্ব ছাড়া মহিলাদের কীভাবে ক্ষমতায়ন করা সম্ভব হবে৷
রাষ্ট্রপতি বেটি বাঁচাও পড়াও উদ্যোগ এবং মহিলাদের প্রকৃত ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে তাঁর সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্য প্রধামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান৷ তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘ ২০১৬ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবস-এর থিম হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে প্ল্যানেটি ৫০-৫০, স্টেপ ইট আপ ফর জেন্ডার ইক্যুইলিটি ঘোষণা করেছে৷ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের মাধ্যমে ২০৩০ এর এজেন্ডাসমূহ বা কার্যক্রমকে গতিদান করতে দেশ ও জাতির সম্মীলিত ইচ্ছার বিষয়টি প্রতিফলিত হবে৷ লিঙ্গ সমতা ও মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পুনরায় নজর দিতে হবে৷ লিঙ্গ সমতার মাধ্যমে সুস্থির বিকাশের লক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘের এজেন্ডা এগিয়ে নিয়ে যেতে যাওয়ার ক্ষেত্রে মহিলা জনপ্রতিনিধিদের জাতীয় সম্মেলন এর আয়োজন একটি সঠিক পদক্ষেপ৷ তিনি এই সম্মেলনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন৷