২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ৪৮২ জনের, ভারতে সুস্থতার হার বাড়ছেই : স্বাস্থ্য মন্ত্রক

নয়াদিল্লি, ৮ জুলাই (হি.স.): ভারতে কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ থামছেই না! কোনও ভাবেই সংক্রমণ ও মৃত্যুতে রাশ টানাই যাচ্ছে না। ভারতে বিগত ২৪ ঘন্টায় (মঙ্গলবার সারাদিনে) নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ভারতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২২,৭৫২ জন। বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২০,৬৪২ জন এবং সংক্রমিত ৭,৪২,৪১৭ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৪,৫৬,৮৩১ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৪২,৪১৭ জন (সক্রিয় করোনা রোগী ২,৬৪,৯৪৪)। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০,৬৪২। এর মধ্যেই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৫৬,৮৩১ জন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুলেটিনে জানিয়েছে, ২০,৬৪২ জনের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে ২৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশে দু’জন, অসমে ১৪ জন, বিহারে ১০৪ জনের, চন্ডীগড়ে ৭ জন, ছত্তিশগড়ে ১৪ জন, দিল্লিতে ৩১৬৫ জনের, গোয়া ৮ জন, গুজরাটে ১৯৭৭ জনের, হরিয়ানায় ২৭৯ জনের, হিমাচল প্রদেশে ১১ জনের, জম্মু-কাশ্মীরে ১৪৩ জনের, ঝাড়খণ্ডে ২২ জনের, কর্ণাটকে ৪১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, কেরলে ২৭ জন, লাদাখে একজন, মধ্যপ্রদেশে ৬২২ জন, মহারাষ্ট্রে ৯,২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, মেঘালয়ে একজন, ওডিশায় ৪২ জনের, পুদুচেরিতে ১৪ জন, পঞ্জাবে ১৭৫ জন, রাজস্থানে ৪৭২ জনের, তামিলনাড়ুতে ১,৬৩৬ জন, তেলেঙ্গানায় ৩১৩ জন, ত্রিপুরায় একজন, উত্তরাখণ্ডে ৪৩ জন, উত্তর প্রদেশে ৮২৭ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ৮০৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

করোনা-আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে এগিয়েই রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৭,১২১-এ পৌঁছেছে। দিল্লিতে আক্রান্ত ১০২,৮৩১, গুজরাটে ৩৭,৫৫০, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩,৮৩৭, উত্তর প্রদেশে ২৯,৯৬৮ এবং তামিলনাড়ুতে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১১,৮৫,৯৪। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা যতটা দ্রুত গতিতে বাড়ছে, ঠিক ততটাই দ্রুত গতিতে চলছে নমুনা পরীক্ষা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে, ৭ জুলাই পর্যন্ত ১,০৪,৭৩,৭৭১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শুধুমাত্র ৭ জুলাই ২,৬২,৬৭৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *