হাফলং (অসম), ৪ জুলাই (হি.স.) : গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কায় ডিমা হাসাও জেলায় এক আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। যার দরুন সোমবার থেকে ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হচ্ছে ডিমা হাসাও জেলায়।
শুক্রবার ডিমা হাসাও জেলায় ভ্রমণ বৃত্তান্তহীন মান্দারডিসার চেক পোস্টে কর্মরত পাঁচ পুলিশ কর্মী এবং দিয়ুংমুখে এক স্বাস্থ্য কর্মীর ছেলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সিইএম দেবোলাল গারলোসার নির্দেশে বিজেপি শাসিত পার্বত্য পরিষদের কার্যনির্বাহী সমিতি এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তড়িঘড়ি এক বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে সোমবার থেকে ডিমা হাসাও জেলায় ১৪ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
শনিবার জেলাশাসক পল বরুয়া জানিয়েছেন, পার্বত্য পরিষদ শুক্রবার জরুরি বৈঠক করে ১৪ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠকে গৃহীত লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা তিনি ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে অবগত করেছেন। ফলে সোমবার থেকে ডিমা হাসাও জেলায় সম্ভবত ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হচ্ছে। আগামীকালের মধ্যে এই ১৪ দিনের লকডাউনের ব্যাপারে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নির্দেশ আসলেই সোমবার থেকে ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হবে।
জেলাশাসক বলেন, ডিমা হাসাও জেলায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাই উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ সোমবার থেকে ডিমা হাসাও জেলায় লকডাউনের পক্ষে মতামত দিয়েছে। তিনি বলেন, ডিমা হাসাও জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ের এই লকডাউন কঠোর হবে। স্বাস্থ্য পরিষেবা ও অত্যাবশক পরিষেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে। আর লকডাউন অমান্য করলেই দূর্যোগ মোকাবিলা আইন ২০০৫-এর অধীনে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানিয়ে দেন জেলাশাসক পল বরুয়া।
এদিকে দিয়ুংমুখে যে স্বাস্থ্য কর্মীর ছেলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ওই যুবক দিয়ুংমুখ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে একটি ক্যান্টিন চালাতো। তাই তার সংস্পৃষ্টে আসার জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ৫৬ জনকে শনাক্ত করে আজ (শনিবার) এদের লালারস সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তাছাড়া দিয়ুংমুখ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মীদের শনিবার লালরস সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।