কাটিগড়া (অসম), ২৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : বরাক উপত্যকাকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করে বার্মিজ সামগ্রীর রমরমা বাণিজ্য শুরু হয়েছে বহুদিন ধরে। বার্মিজ সুপারি, সিগারেট, মাদক সামগ্রী থেকে শুরু করে এবার শুরু হয়েছে বার্মিজ গরু-বাণিজ্য। কাছাড় জেলার কাটিগড়া পুলিশের এক অভিযানে চেরাগিবাজার সংলগ্ন এলাকা লাঠিমারা গ্রাম থেকে আজ মঙ্গলবার ১৭টি বার্মিজ গরু উদ্ধার হয়েছে। জানা গেছে, একেকটি বার্মিজ গরুর আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রায় দেড় লক্ষ করে ২৫.৫০ লক্ষ টাকা হবে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে কোনও ধরপাকড়ের খবর পাওয়া যায়নি।
কাছাড়ের পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতো সাংবাদিক বৈঠক করে এই খবর দিযে জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত এক খবরের উপর ভিত্তি করে পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর এল চিংচিং এবং অন্য পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামেন কাটিগড়া থানার ওসি নবকুমার শইকিয়া। তাঁরা অভিযান চালান চেরাগি বাজারের লাঠিমারা গ্রামে। লাঠিমারার বুক চিরে প্রবাহিত নদীর ওপর প্রান্তে তালাশি চালিয়ে ১৭টি বার্মিজ গরু উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
পুলিশ সুপার মাহাতো জানান, উদ্ধারকৃত বার্মিজ গরুগুলিকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য পশু চিকিৎসক ডেকে আনা হয়েছে। তিনি জানান, গোপন খবরের পুলিশ অভিযানে নেমে সাফল্য লাভ করেছে। মায়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে কাছাড় জেলার কাটিগড়া এলাকাকে করিডোর করে ভিন্ন রাজ্য বা অন্য কোনও দেশে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে বার্মিজ গরুকাণ্ডের ফরয়ার্ড এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংক গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এর তদন্ত শুরু হয়েছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আশা ব্যক্তি করেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে কাছাড়ের পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতোর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রতকুমার সেন।