করিমগঞ্জ (অসম), ২৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : এক কোটি টাকার মাদক ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করার পর একই দিনে করিমগঞ্জ জেলার সেই বাগেরসাঙ্গন গ্রামে মাদক-বিরোধী অভিযান চালিয়ে আবারও সাফল্য পেয়েছে গিরিশগঞ্জ পুলিশ। আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকার ইয়াবা সহ নগদ আট লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি মাদক কারবারে জড়িত অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি মাদক কারবারে জড়িত অভিযোগে গ্রামের জনৈক জুবেল আহমেদের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছিল। এক বাগেরসাঙ্গনে প্রায় ঘরে ঘরে মাদক কারবারির অবস্থানে করিমগঞ্জ মায় গোটা বরাক উপত্যকার সচেতন নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত এক খবরের উপর ভিত্তি করে সোমবার বিকালে অভিযানে নেমে এই সাফল্য লাভ করেছে গিরিশগঞ্জ পুলিশ। জানা গেছে, মাদক মজুতের খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে বাগেরসাঙ্গন গ্রামের জনৈক বশির উদ্দিনের ছেলে ফয়সল আহমেদের বাড়িতে অভিযান চালান গিরিশগঞ্জ পুলিশ আউট পোস্টের ইনচার্জ সুরজ দত্ত। পুলিশের দল ফয়সলের ঘরে তালাশি চালিয়ে গোপন জায়গা থেকে পাঁচটি প্যাকেটে ১,৬০০ মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করে। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ আট লক্ষ টাকাও।
এদিকে পুলিশি অভিযানের আগাম খবর পেয়ে মাদক ব্যবসায় জড়িত ফয়সল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাকে আটক করে পুলিশের দল। তাকে পাকড়াও করে মাদক ট্যাবলেট এবং নগদ টাকা সহ নিয়ে আসা হয় করিমগঞ্জ সদর থানায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রদত্ত স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবসট্যান্সেস অ্যাক্ট, ১৯৮৫ (এনডিপিএস)-এর বলে ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল ২৭ জানুয়ারি এই বাগেরসাঙ্গনের ঘোঘরাকোণা গ্রামে জনৈক আব্দুল সত্তারের ছেলে আফজল হুসেনের ঘরে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার ২০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছে গিরিশগঞ্জ পুলিশ। ওই ইয়াবাগুলির বাজারমূল্য ছিল এক কোটি টাকার বেশি। একই সাথে আফজল হুসেনের ঘর থেকে নগদ ছয় হাজার ২০০ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি বাগেরসাঙ্গন গ্রামের জনৈক জামাল উদ্দিনের ছেলে জুবেল আহমেদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি প্যাকেটে ১০ হাজারটি সন্দেহজনক নেশা জাতীয় ট্যাবলেট ইয়াবা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন গিরিশগঞ্জ পুলিশ আউটপোস্টের ইনচার্জ সুরজ দত্ত। ওই ঘটনায় আটক করা হয়েছিল জুবেল আহমেদের স্ত্রীকে।