নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ফেব্রুয়ারী৷৷ সরব প্রচার শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার রাতভর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘটিত হয় বিশালগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে৷ ভোট পর্ব শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ জন৷ রাজ্যে নির্বাচনের সরব প্রচার শেষ হতেই শুরু হল দুষৃকতীকারীদের তান্ডব লীলা৷ মঙ্গলবার রাতে বিশালগড় মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে দুষৃকতী বাহিনী উন্মত্ত তান্ডব চালায়৷ বাদ যায়নি বিরোধীদলের কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে নিরীহ সাধারণ মানুষ৷ বিশালগড় মহকুমার লক্ষ্মীবিল সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এই ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে৷ আহতদের অভিযোগ শাসক দল সমর্থিত কর্মী সমর্থকটাই এদিন রাতের আঁধারে বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকদের টার্গেট করে বাড়িঘরে হামলা চালায়৷ পাশাপাশি শারীরিকভাবে আক্রমণ চালানো হয় বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকদের উপর৷ এমনই এক দুষৃকতী হামলায় আহত হয়েছেন পূর্ব লক্ষ্মীবিল এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিপ্লব শীলের স্ত্রী অপরাজিতা শীল৷ এক্ষেত্রে অভিযোগের তীর সরাসরি শাসক দল বিজেপির কর্মীদের দিকে৷ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আহতরা জানান মূলত উপপ্রধান মলিন দাসের ছেলে গোবিন্দ দাস, হৃদয় দাস সহ আরো ৭-৮ জন দুষৃকতিকারী এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছিল পূর্ব লক্ষ্মীবিল এলাকায়৷ অন্যদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে একদল দুষৃকতীকারী উত্তর ব্রজপুর কদমতলী এলাকায় গিয়ে একাধিক বাড়িঘরে তাণ্ডব চালায় এবং পরে দুষৃকতীরা এলাকার একটি খালি জায়গায় গিয়ে পরপর তিন রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে৷ফলে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য৷খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশালগড় বিধানসভার রিটার্নিং অফিসার বিনয় ভূষণ দাস সহ পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী৷ অভিযোগ ,পুলিশ নামমাত্র একটি অভিযোগ নিয়ে চলে আসে৷ মঙ্গলবার রাতভর বিশালগড় থানা এলাকার নীল কমল, নোয়াপাড়া, অফিটিলা, নমপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১২-১৪ টি বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ অন্যদিকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ সাধারণ জনগণের৷ মূলত যে সকল জায়গাগুলোতে এই ধরনের দুষৃকতী আক্রমণের ঘটনা সংঘটিত হয় সেখানে প্রশাসনে খবর থাকা সত্ত্বেও সেই এলাকা গুলিতে যায়নি প্রশাসন৷ শুধুমাত্র শহরের প্রাণকেন্দ্র গুলোতে জেলা শাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা পেট্রোলিং করে নিজেদের সক্রিয়তা প্রমাণ করতে চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ৷ মঙ্গলবার রাতে বিশালগড় ছিল সমাজদ্রোহীদের কবলে৷ প্রশাসন ছিল কুম্ভনিদ্রায়৷ ফলে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করবে তা নিয়ে প্রশ্ণ আমজনতার অন্দরে৷
2023-02-15

