ভিক্টোরিয়ায় মণীশ-জায়ার অনুষ্ঠানে প্রতিবাদ শুভেন্দুর, কটাক্ষ রাজ্যপালকে

কলকাতা, ৪ ফেব্রুয়ারি (হি স)। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল শিক্ষা বিভাগের প্রধান সচিব মনীশ জৈন (আইএএস) এর স্ত্রী রুচিরা জৈনের অনুষ্ঠান নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় এই ‘অবধি লোকসঙ্গীত’-এর অনুষ্ঠান।

শুভেন্দুবাবু এদিন টুইটারে ইংরেজিতে লিখেছেন, “আজ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনুষ্ঠান করবে। আমি মাননীয় রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোসকে অনুরোধ করব পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য গায়ক ও সঙ্গীতশিল্পীদের একই সুযোগ দেওয়ার জন্য।”

সঙ্গে একটি নোটে তিনি লিখেছেন, “ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলকাতার পরিচয়ের সমার্থক একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি প্রতীক; একটি অছি পরিষদ এটির পরিচালনা করেন। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংগঠন, সভাপতিত্ব করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। রুচিরা জৈন, গায়িকা ছাড়াও, ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার স্কুল শিক্ষা বিভাগের প্রধান সচিব মনীশ জৈনের স্ত্রীও।

এটি খুব বাস্তব সত্য যে মণীশবাবুকে এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির বিষয়ে হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি এদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণ-কেলেঙ্কারির একটি।

রুচিরা জৈনকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনুষ্ঠানের সুবিধা দিয়েছেন মণীশবাবুর পরিচিত এবং ব্যাচমেট, রাজ্যপালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। এই অনুষ্ঠান করার জন্য, অনুষ্ঠানের প্রচারের জন্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতো বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের খরচ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করছে।
আমি অবশ্যই আশা করব যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মত এরকম গুরুত্বের স্মৃতিস্তম্ভের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অর্থাৎ ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় রাজ্যপাল ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীদের এই জায়গায় অনুষ্ঠান করার একই সুযোগ দেবেন। পশ্চিমবঙ্গের গায়ক, শিল্পী, লোক গায়ক ও সঙ্গীতশিল্পীদের গম্ভীরা, ভাওয়াল্যা, চোটকা, ভাদু, টুসু, জাওয়া, ঝুমুর, আলকাপ, বোলান, পাঁচালি এবং অন্যান্য অনেক ধরনের সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ পাওয়া উচিত।
বাংলার সংগীতশিল্পীরা অবশ্যই এমন একটি স্থানে তাঁদের প্রতিভা দেখিয়ে উপকৃত হবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *