কলকাতা, ২০ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : সোমবার আচমকাই নবান্নে এলেন প্রশান্ত কিশোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক সারলেন ভোটকুশলী। সঙ্গে ছিলেন ভাইপো তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দিরে পঞ্চপ্রদীপ হাতে আরতি করেন তাঁরা।
নবান্ন থেকে বাবুল সুপ্রিয় বেরিয়ে যাওয়ার পরই তিনজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। তবে কী নিয়ে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, নবান্ন থেকে ভবানীপুরের শীতলা মন্দিরে যান তৃণমূলনেত্রী। সেখানেও তাঁর সঙ্গে ছিলেন পিকে এবং অভিষেক। পঞ্চপ্রদীপ হাতে পিকে-কে সন্ধ্যারতি করতেও দেখা যায়। আরতি করেন অভিষেকও। মমতা নিজেই প্রদীপ হাতে ধরিয়ে দেন পিকের। এরপর তাঁকেও আরতি করতে দেখা যায়। পুজো শেষে তিনি এলাকার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেন।
এদিন দুপুরে নবান্নে এসেছিলেন বাবুল। মমতা, অভিষেক এবং ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠক করেন আসানসোলের সাংসদ। তার পর ডেরেককে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এর পরই নিজের ঘরে পিকে এবং অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে সংগঠন বাড়াচ্ছে তৃণমূল। আর সেই দায়িত্ব অভিষেকের কাঁধে তুলে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সংগঠন বৃদ্ধি নিয়ে পিকের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করতে দেখা গিয়েছে অভিষেককে। এবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সারলেন পিকে। যা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।
প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি দিল্লিতে অভিষেক দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের। দীর্ঘ জেরার পর ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে সদর্পে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছিলেন, দেশের যে সমস্ত জায়গায় বিজেপি রয়েছে, সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস যাবে এবং ২০২৪ সালে বিজেপিকে হারাবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। সেই ঘোষণার রেশ মিটতে না মিটতেই পিকের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ বৈঠক জল্পনা বৃদ্ধি করেছিল রাজনৈতিক মহলে।