আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: প্রধানমন্ত্রী বিমান পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা, ত্বরিত উদ্ধার তৎপরতার নির্দেশ

নয়াদিল্লি, ১২ জুন: আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমানটিতে ২০০-র বেশি যাত্রী ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে শহরের মেঘানীনগর এলাকার কাছে, যার ফলে এলাকাজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে নাগরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, তিনি সঙ্গে সঙ্গে আহমেদাবাদ রওনা দিচ্ছেন এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজের তদারকি করবেন।

প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীকে সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা অবিলম্বে নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং নিয়মিত অবস্থা জানাতে বলেছেন।

বিমান পরিবহন মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, নাগরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেছেন, আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনে মর্মাহত ও শোকাহত। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং সমস্ত উদ্ধারকারী সংস্থাকে দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

তিনি আরও জানান, আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহায়তা প্রদানে সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মন্ত্রী বিজয়ওয়াড়ায় এনডিএ সরকারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান চলাকালীন সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সব কর্মসূচি বাতিল করে আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিবৃতি:এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান এন. চন্দ্রশেখরন বলেন,
“গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আজ আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এআই ১৭১ নম্বর ফ্লাইটটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আমরা এই দুঃখজনক ঘটনার শিকার সকলের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য এখন ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রী ও তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং উদ্ধারকারী দলকে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করা।”

এদিকে, ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশ ও মেডিকেল টিম। তাছাড়া, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। একটি জরুরি হেল্পলাইন ও তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যাতে পরিবাররা তথ্য পেতে পারেন।