BRAKING NEWS

বিজয়ার দিন স্মৃতিতে ডুব দিলেন রঞ্জিত মল্লিক

কলকাতা, ২৪ অক্টোবর, (হি.স.): শতবর্ষের দোরগোড়ায় ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো। দশমীতে বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসের পথে যাত্রা করবেন মা দুর্গা। বিসর্জনের পুজো সকালেই শেষ হয়ে যায় ।

বেলা গড়াতেই প্রথা মেনে মল্লিক বাড়িতে শুরু হয় সিঁদুর খেলা। একে একে দালানে আসেন পরিবারের সদস্যরা। দেবী বরণে জমজমাট ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ি। পরিবারের সকলের সঙ্গে খুশির মেজাজে রঞ্জিত মল্লিক।

রঞ্জিত মল্লিক জানালেন, এ বাড়িতে পুজো হয় একেবারে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মেনে। সময় মেনে পুজোর প্রতিটি উপাচার করা হয়। তাই বিসর্জনও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই। এ বাড়ির প্রতিমা গাড়িতে চেপে নিরঞ্জনে যায় না। বাড়ির ছেলেরাই কাঁধে করে নিয়ে যান দেবীপ্রতিমাকে।

এই বাড়ির সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে নানা স্মৃতি। আর এই একটা সময়ই বাড়ির সব সদস্যরা পুজোর দালানে একত্রিত হন। তাই বিসর্জনের দিন মনটা খারাপ হয়ে যায়। পরিবারের বাকিদের সঙ্গে আবার কবে দেখা হবে? বছরে এই একটা সময়ই তো সকলের সঙ্গে সকলের সাক্ষাৎ। বিশেষত. বিদেশ থেকে যাঁরা আসেন, তাঁদের সঙ্গে তো দেখা হয়ই না অন্যসময়। তাই বিজয়ার দিন মানেই মনের কোণে বিষাদের মেঘ, জানালেন রঞ্জিত মল্লিক।

নবমীর দিনই সংবাদমাধ্যমকে রঞ্জিত মল্লিক জানিয়েছিলেন, ‘পুজো তো রয়েইছে। কিন্তু আরও একটা বিষয় রয়েছে, পুজোর সময়েই আমাদের যাঁরা আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন বাইরে। তাঁরা সুযোগ পেলেই পুজোয় চলে আসেন। এই সময়েই দেখা-সাক্ষাৎ হয়।’

রঞ্জিত মল্লিক জানালেন, বরণ করেছেন কোয়েলের মা। এরপর দুপুরে আসবেন কোয়েল। সিঁদুর খেলা তো হবেই। বিসর্জন করে ফিরে এসে সবাইকে দেওয়া হয় শান্তির জল। আর এটা সকলেই নিতে চান।

বছরভর শ্যুটিংয়ের মধ্যে কোয়েল মল্লিকের বাড়ির পুজো কাটে অন্যরকম ব্যস্ততায়। অভিনেত্রী নন, এই ক’টা দিন কোয়েল মল্লিকের পরিচয় শুধুই ঘরের মেয়ে। তাই তিনি দিনভর মাতেন আড্ডায়। ছেলে কবীরও পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা। এ বছরের মতো পুজো শেষ। তাই দশমীতেও সকলে থাকলেন পরিবারের সঙ্গেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *