নাগাল্যান্ডে বেলা একটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৮.৭৭ শতাংশএক আসনে বিজেপি প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় ভোটদান হচ্ছে ৫৯ কেন্দ্রে

কোহিমা, ২৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : ৬০ আসনের নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনে বেলা একটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৮.৭৭ শতাংশ। সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ৩৪.৬২ এবং সকাল নয়টা পর্যন্ত ১১.৮৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল বলে রাজ্য নির্বাচন দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় আজ ভোট হচ্ছে ৫৯ আসনে। রাজ্যের জাতীয়, আঞ্চলিক এবং নির্দলীয় প্রার্থীর মোট ১৮৩ জনের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ১৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৩৪ জন ভোটার।
আজ সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোট দান পর্ব। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। এবার ভোট পর্ব শুরুর প্রায় দু-ঘণ্টা আগে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। গোটা রাজ্যে দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যেও উৎসবের মেজাজে নাগরিকগণ ভোটদান করছেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এবার রাজ্যে ভোট দান গতবারের চেয়ে বেশি হবে। গতবার ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৭৫ শতাংশ এবং ২০১৩ সালে ৯০.৫৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় ভারী নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ওখা জেলার অধীন ভাণ্ডারি বিধানসভা কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিপিপি কর্মীর সঙ্গে কংগ্রেসের জোটশরিক এনপিএফ কর্মীদের মধ্যে কিছু বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
৬০ আসন বিশিষ্ট নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনে মোট ১৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৩৪ জন ভোটার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সার্ভিস ভোটার রয়েছেন ৭,৯৮৩ জন। রাজ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা ২৪ হাজার ৬৮৯। এছাড়া দিব্যাঙ্গ ভোটার ৬,৯৭০ জন। তবে নাগাল্যান্ডে তৃতীয় লিঙ্গের কোনও ভোটার নেই। অন্যদিকে, নাগাল্যান্ডে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটার রয়েছে ৩৬ হাজার ৪০৩ জন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যে জানা গেছে, নাগাল্যান্ডে ২০১৮ সালে ২,১৯৪টি ভোট কেন্দ্র ছিল। এবার ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বেড়ে হয়েছে ২,৩১৫টি ভোট কেন্দ্র। এদিকে নাগাল্যান্ডে ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫৯টি জনজাতি সংরক্ষিত। এই রাজ্যেও তফশিলি জাতি সংরক্ষিত আসন নেই।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, নাগাল্যান্ডের ৩১-এসি নম্বর আকুলুটো (উপজাতি তফশিলি) আসনে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র প্রার্থী তথা বিধায়ক কাজহেতো কিনিমি। ওই দিন (১০ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অন্তিম তারিখ বিজেপি ছাড়া সব কয়টি দল এবং নির্দলীয় প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় কাজহেতো কিনিমিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *