আগরতলা, ২৩ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে গণনা পর্ব মিটিয়ে ফেলার লক্ষ্যে সারা রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন মুখ্য সচিব, পুলিশের মহানির্দেশক এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী এবং সিপাহিজলা জেলা সফর শেষে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন, ২ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই গণনা পর্যবেক্ষক নিয়োগ সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসে সারা ত্রিপুরায় পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় গণনা পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে মিটিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং আরক্ষা প্রশাসনের জন্য রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে, ত্রিপুরার মুখ্য সচিব জে কে সিনহা সম্প্রতি পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে-কে সাথে রাজ্যের পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যালোচনা করছেন। আজ তাঁরা দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী এবং সিপাহিজলা জেলা সফর করেছেন। ওই তিন জেলায় নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি গণনার দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিনের পর্যালোচনা বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ মহানির্দেশক সৌরভ ত্রিপাঠি এবং তিন জেলার জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার সহ পদস্থ আধিকারিকগণ।
পর্যালোচনা সভায় ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য সভায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সেই লক্ষ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দল, প্রার্থীগণ এবং নির্বাচনী এজেন্টদের সাথে জেলাশাসক ও সমাহর্তা, পুলিশ সুপার এবং রিটার্নিং অফিসারদের বৈঠক করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যালোচনা সভায় জানানো হয়েছে, ভোট গণনার আগে ও পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভারতের নির্বাচন কমিশন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গণনা পর্যবেক্ষকদের নিয়োগ করবে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয় আশাবাদী। প্রসঙ্গত, আগামী ২ মার্চ ত্রিপুরাজুড়ে ২১টি গণনা কেন্দ্রে রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা আসনের ভোট গণনা অনুষ্ঠিত হবে।