আগরতলা, ২১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : ত্রিপুরাকে কংগ্রেস কখনোই গুরুত্ব দেয়নি, নির্বাচনী প্রচারে হেভিওয়েট নেতৃত্বদের অংশগ্রহণ তা প্রমাণ করে দিয়েছে। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে কংগ্রেসের হেভিওয়েট কোন নেতার দেখা মিলেনি। অথচ, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে প্রচারের রয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। আজ নাগাল্যান্ডে মল্লিকার্জুন খাড়গে জনসভায় অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল মেঘালয়ের শিলং-এ রাহুল গান্ধী জনসভায় অংশ নেবেন।
অতীতে একাধিক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস হাইকমান্ডের দ্বিচারিতা দেখেছেন ত্রিপুরাবাসী। তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সাথে জোট বেঁধে বিজেপিকে হারাতে নেমেছে কংগ্রেস। অথচ, তারকা প্রচারকের দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করেও নির্বাচনের প্রচারে দুয়েক জন অতি সাধারণ মাপের নেতৃত্বের বক্তব্য শুনেছেন ত্রিপুরার মানুষ। ত্রিপুরায় তারকা প্রচারকের তালিকায় মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াংকা গান্ধী ছিলেন। হয়তো, ব্যস্ততার কারণে ত্রিপুরা সফরে আসা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি, বিদ্রুপের সুরে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন জনৈক কর্মী।
সমালোচকদের মতে, ত্রিপুরায় কংগ্রেসের ডুবন্ত নৌকায় উঠতে চাননি মল্লিকার্জুন খাড়গে বা রাহুল গান্ধী। তাই, তাঁরা নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে প্রচারে যেতে সময় পেলেও ত্রিপুরায় আসতে নারাজ ছিলেন। আজ মল্লিকার্জুন খাড়গে নাগাল্যান্ডে বিজেপিকে তুলোধুনা করেছেন এবং কংগ্রেসের জয়গান গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করার চেষ্টায় মজেছিলেন। আগামীকাল সকাল ১১টায় শিলং-র মলকি ময়দানে রাহুল গান্ধী নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেবেন। তাতে হতাশ কংগ্রেসের কর্মীদের আক্ষেপ, এজন্যই ত্রিপুরায় টানা ২৫ বছর বামেদের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।

