শান্তিনিকেতন , ২০ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : বিশ্বভারতীতে সমাবর্তনে আসছেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশ্বভারতীর তরফে কর্মসচিব এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, চব্বিশে ফেব্রুয়ারি ৫৩ তম সমাবর্তন হতে চলেছে। একুশ – বাইশ সালের ছাত্রছাত্রীদের জন্য সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বভারতীর জন সংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায বলেন, “সমাবর্তনে অতিথি রূপে উপস্থিত থাকবেন রাজনাথ সিং। রাজ্যপাল আনন্দ বোসের আসার কথা।” তবে মুখ্যমন্ত্রীকে কোনো আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কিনা, সেব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেন নি।
২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীতে আশ্রম প্রাঙ্গণের আম্রকুঞ্জে জহর বেদী তে সমাবর্তন শুরু হবে সকাল ন’টা নাগাদ। বাইশ সালে সমাবর্তন হওয়ার কথা থাকলেও হয় নি। দুই হাজার বাইশ সালের ১১ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীতে ছোট আকারের সমাবর্তনের কথা ছিল। অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, এটর্নিজেনারেল আর ভেঙ্কটরমনি, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের৷ কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের জেরে উপাচার্য কে ঘেরাও করে রাখা হয়। ফলে শেষ মুহূর্তে সমাবর্তন বাতিল বিশ্বভারতী।
অন্যদিকে উনিশ সাল থেকে দেশিকোত্তম, অবন, গগন কোনো পুরষ্কার দেওয়া হয় নি। এব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিশ্বভারতী।
অনুষ্ঠান সূচি ঘোষণা না হলেও, নিয়ম মাফিক অতিথি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজ নাথ সিং রথীন্দ্র অতিথি শালায় উঠবেন। বিশ্বভারতীর ভিজিটরস বুকে স্বাক্ষর রাখবেন। তারপর বকুল বিথি থেকে শুরু হবে সমাবর্তনের শোভাযাত্রা। আম্রকুঞ্জ মাঝখান দিয়ে শোভাযাত্রা পৌছবে জহরবেদীতে। সমাবর্তন মঞ্চে যোগ দেবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। প্রথা অনুযায়ী সপ্তপর্ণী বা ছাতিম পাতা ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে। বেদগানের মাধ্যমে শুরু হয়ে যাবে সমাবর্তন। সংকল্প বচন পাঠ শেষে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী স্বাগত ভাষন দেবেন।