নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ ফব্রুয়ারী৷৷অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ২/৩ মাস পরই রাজ্যে বৈধতা পেয়ে যাচ্ছে৷ রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ, ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দালালরা ভুঁয়া নথি দেখিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা বাংলাদেশীদের আদালত থেকে জামিন আদায় করে নিয়ে যাচ্ছে৷ তাতে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সর প্রশ্ণ দেখা দিয়েছে৷কয়েকবছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে রোহিঙ্গা বাংলাদেশীরা অবৈধভাবে ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশ করে চলেছে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ বা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়৷ বিরাট একটা অংশ গোয়েন্দা ও পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে রাজ্যের সড়ক ,বিমান ও রেলপথের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে৷ আর যাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে দালালরা৷ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশীরা শুধুমাত্র দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে না, একটি শক্তিশালী দালাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও পাড়ি দিচ্ছে বলে সূত্রের খবর৷ এই নেটওয়ার্কটি নিয়ন্ত্রিত হয় দেশের রাজধানী দিল্লি থেকে৷ এই নেটওয়ার্কটির কাজ হচ্ছে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশীদের মধ্যে যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদেরকে জামিন পাইয়ে দেওয়ার জন্য দালালদের প্রচুর টাকা ফান্ডিং করা হয়৷ একজনের জন্য প্রায় ৪থেকে ৫লাখ টাকা ফান্ড দেওয়া হচ্ছে বলে খবর৷ বিগত চার পাঁচ মাস ধরে আগরতলা শহরেও গজিয়ে উঠেছে একটি দালাল চক্র৷ এই চক্রটির কাজ হচ্ছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের জালি আধার কার্ড প্যান কার্ড ,এমনকি দেশের যেকোন প্রান্তের পঞ্চায়েতে নাম তুলে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের জামিন করিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের পাঠিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব৷ অসহায় আর্থিক অস্বচ্ছল লোকদের ১০/২০ হাজার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে এসব কাজ করানো হচ্ছে৷ অথচ তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ফেলে দিচ্ছে৷ আগরতলা জেলা ও দায়রা আদালতেই এই দালাল চক্রটি গজিয়ে উঠেছে৷ এই চক্রটি নিয়ন্ত্রিত হয় দিল্লি থেকে৷ জেলা আদালতের চক্রটি এক লেডি মুহুরি নিয়ন্ত্রণ করছে বলে সূত্রের খবর৷ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জালি নথিপত্র আদালতে প্রেরন করে জামিন করিয়ে লেডি মুহুরির বাড়িতে রেখে দেয়৷ দিল্লির নেটওয়ার্কটি লেডি মুহুরির একাউন্টে জনপ্রতি ৪/৫ লাখ টাকা দিলেই তাকে দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছি লেডি মুহুরি৷
দালাল চক্রের সক্রিয় চার পাঁচ জন সকাল থেকেই রাত পর্যন্ত জেলা আদালতে হাজির থাকছে৷৷শুধুমাত্র কিছু টাকার জন্য দালালরা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বড়সর প্রশ্ণ চিহ্ণের মধ্যে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে৷ ক্রাইম ব্রাঞ্চ বা গোয়েন্দা বিভাগ যদি লেডি মুহুরিকে আটক করে তার ব্যাংক একাউন্ট মোবাইল ফোন যাচাই করে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাহলে বড় বড় আরো মাথা বেরিয়ে আসবে বলে আদালত চত্বরের খবর৷