তিপরা মথা, সিপিএম ও কংগ্রেস ত্রিপুরার ত্রিমুখী সমস্যা, বলেছেন অমিত শাহ‘সুখে শান্তিতে বাস করতে হলে গরিবদের লুটেরা বাম-কংগ্রেসকে একটিও ভোট দেবেন না’

আগরতলা, ১২ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : তিপরা মথা, সিপিআই (এম) ও কংগ্রেস ত্রিপুরার ত্রিমুখী সমস্যা। সুখে-শান্তিতে এবং উন্নয়নমুখী ত্ৰিপুরা চাইলে গরিবদের লুটেরা বাম-কংগ্রেসকে একটিও ভোট দিতে বারণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির জাতীয় শীর্ষ নেতা অমিত শাহ। আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ত্রিপুরায় একাধিক বিজয় সংকল্প সমাবেশে যোগ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলেছেন।

আজ রবিবার গোমতি জেলা সদর উদয়পুর এবং বিশ্ৰামগঞ্জে অনুষ্ঠিত আসন্ন ১৬ ফেব্ৰুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনী জনসভায় লক্ষাধিক জনতার উপস্থিতিতে অমিত তাঁর গোটা ভাষণে দেশ তথা ত্রিপুরার উন্নয়নে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের উপকারিতার খতিয়ান তুলে ধরেছেন। তিনি ত্রিপুরায় তদানীন্তন বাম শাসনের ভয়াবহ দিনের প্রসঙ্গ টেনে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের তুলোধোনা করেছেন। রক্তাক্ত হাতের সঙ্গে কংগ্রেস জোট গড়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, এরা ভোটে জিতলে রাজ্যবাসীর কপালে পুরনো দুঃখ ফিরে আসবে বলে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেন, এই দুই দলই গরিবদের টাকা লুটেপুটে খাওয়ায় সিদ্ধহস্ত।

দীৰ্ঘ বক্তৃতায় অমিত বলেন, ‘কংগ্ৰেসের সঙ্গে জোট গঠন করে সিপিআই (এম) প্রমাণ করেছে, তারা বিজেপিকে পরাজিত করতে পারবে না, কারণ ত্রিপুরার মানুষ এই দলের শাসনও দেখেছেন এবং গত পাঁচ বছর বিজেপির ডাবল ইঞ্জিনের সরকারও দেখছেন। ত্রিপুরার জনতা বুঝতে পারছেন, কেন্দ্রে মোদী এবং রাজ্যে মানিক সাহা ছাড়া তাঁদের সুখ-শান্তি এবং উন্নয়ন সম্ভব নয়। অতএব এবারও ত্রিপুরাবাসী বিজেপির সব প্রার্থীদের ভোট দিতে মনোস্থির করে ফেলেছেন।’ বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ।

সমাবেশে বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ বলেন, ‘তিপরা মথার জনক বামফ্রন্ট। এই তিন দল সিপিআইএম, কগ্রেস এবং ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য ত্রিমুখী সমস্যা।’ তাই তিনি এই তিন দল থেকে সাবধান থাকতে পরামৰ্শ দিয়েছেন রাজ্যবাসীকে।

নির্বাচনী সংকল্পপত্রে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির তথ্য শুনিয়ে অমিত শাহ বলেন, বিজেপি সরকার ত্রিপুরার সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। শীঘ্রই রাজ্যের জন্য আরও বহু প্রকল্প চালু করবে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাহ বলেন, ‘আমাদের সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এছাড়া, মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্কুটি দেবে নতুন বিজেপি সরকার। ’

সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে অমিত শাহ বলেন, ত্রিপুরার জনগণকে ২.৫ লক্ষ বাড়ি দেওয়া হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর অধীনে ‘হর ঘর বিকাশ’ একটি বাস্তবতা। এছাড়া রাজ্যের চা বাগান কর্মীদের জন্য ১৬,০০০ বর্গফুট জমি ইতিমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে।

উদয়পুর এবং বিশ্রামগঞ্জে বিশাল বিশাল সংকল্প সমাবেশে যোগ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলে আগরতলায় ফিরে এসেছেন অমিত শাহ। এখানে বিকেলে এক রোড-শোয় অংশগ্রহণ করবেন তিনি।