কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): ঝালদা পুরসভা মামলা আরও জলঘোলা হল। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই পুরসভার চেয়ারম্যান থাকবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। এই সময়কালের মধ্যে অপসারণ করা যাবে না তাঁকে। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টের বিচারপতি সিনহা শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ খারিজের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। সুদীপ কর্মকারকে নতুন চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তের উপরও স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছিলেন। হাইকোর্ট নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুকে পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শুক্রবার ঝালদা পুরসভার মামলায় আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, চেয়ারম্যান পদে আবার বহাল করতে হবে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই। ডিভিশন বেঞ্চ এমন রায় দেওয়ায় রাজ্য সরকারের সমস্ত চেষ্টা বিফলে গেল।
গত ১৯ জানুয়ারি দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন ঝালদার মহকুমা শাসক ঋতম ঝা। আর তার এক ঘণ্টার মধ্যেই সুদীপ কর্মকারকে নয়া পুরপ্রধান হিসাবে ঘোষণা করে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। দায়িত্ব নেওয়ার দু’দিনের মধ্যে এহেন পরিস্থিতিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা সওয়াল-জবাব শোনার পর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ সংক্রান্ত মহকুমা শাসকের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেন। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুকে পুরপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলায় ফের রাজ্য সরকার ধাক্কা খায়। জানিয়ে দেওয়া হয় আপাতত ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব সামলাবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার বাড়ল তাঁর মেয়াদ।

