নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে অতন্দ্র প্রহরায় পুলিশ

আমবাসা(ত্রিপুরা), ৭ ফেব্রুয়ারি (হি. স.): ভোট মানেই নিজ নিজ দল ও প্রার্থির সমর্থনে প্রচার। ভোট মানেই বিরোধিদলগুলোর পক্ষ থেকে সরকার ও পুলিশকে দোষারোপ করা। ভোট মানেই নিরাপত্তাহীনতার জিগির তোলা। কিন্তু এবছর হাই প্রোফাইল বিধানসভা ভোটে এখনও পর্যন্ত কোন বিরোধী দল নিরাপত্তাহীনতা বা পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ আনতে পারে নি। বিগত আড়াই বা তিন দশকের রাজ্য বিধানসভার ভোটের ইতিহাসে গোটা রাজ্যের সঙ্গে ধলাই জেলা ও বিশেষ করে নজরকাড়া ৪৫ কমলপুর কেন্দ্রে এই চিত্রপট পরিবর্তনের কৃতিত্ব অবশ্যই পুলিশের।

মনিতেই পুলিশের কাজ একটি থ্যাঙ্কলেস জব। পুলিশ সাফল্য অর্জন করলে বলা হয় এটা তাদের কর্তব্য। আর কোথাও খামতি হলে তাদের ব্যর্থতা। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থেকে শুরু করে কমলপুর মহকুমায় ৪৫ কমলপুর, ৪৬ সুরমা এবং ৪৭ আমবাসা কেন্দ্রের একটি অংশে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শঙ্কর চন্দ্র দাসের তৎপরতায় শান্তি বজায় রয়েছে। প্রতিবার ভোট আসলে যে ৪৬ সুরমায় খুন খারাপি, হামলা বিগত বাম আমলে এক নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেখানে একটি মাত্র হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। তাও পুলিশ ৭২ ঘন্টার মধ্যে মথার নেতা প্রণজিৎ নমশূদ্রের হত্যায় জড়িত সকল আসামিকে গ্রেফতার করে এই হত্যাকান্ড নিয়ে রাজনীতির জল ঘোলা করার সমস্ত অপপ্রয়াস বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিদিন ও রাতে খোদ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে ফ্ল্যাগ মার্চ ও রুট মার্চ চলছে। মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দানের বিষয়ে পুরো আশ্বস্ত হতে পারছেন। এ বিষয়ে মহকুমা পুলিশ আধিাকরিক শঙ্কর চন্দ্র দাস একটা বিষয় নিশ্চিত করেছেন যে প্রত্যেক মতদাতা যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে তাদের ভোট প্রদাণ করতে পারেন। আর সেই প্রচেষ্টা ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার তৎপরতা ভোট দানের পরই শুধু নয় ফলাফল ঘোষণার পরও জারি থাকবে বলে জানান হয়েছে।

তবে গণতন্ত্রের এই উৎসবে এই সাফল্যের জন্য কৃতিত্বের ভাগ পুলিশকে এখনও পর্যন্ত কিন্তু দিচ্ছে না কোন রাজনৈতিক দল।