আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারি(হি. স.) : বিজেপির শাসনে জনজাতিদের উন্নয়ন হয়েছে। তেমনি ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্ত-পূর্বাঞ্চল উগ্রপন্থার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে। ঊনকোটি জেলায় কৈলাসহরে বিজেপির বিজয় সংকল্প জনসভায় অংশ নিয়ে একথা জোর গলায় দাবি করেন দলের বরিষ্ঠ নেতা তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সাথে তিনি যোগ করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় অপ্রতুলতায় ত্রিপুরার উন্নয়নের গতি থেমেছিল। ২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তন হওয়ার প্রধানমন্ত্রীর হীরা ত্রিপুরাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছে।
এদিন তিনি দাবি করেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ত্রিপুরার সাথে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। ত্রিপুরার মানুষ অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন। কিন্তু, মাটির সাথে রাজ্যের মানুষের চির অটুট সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, অতীতে শুধু গ্রামে নয়, রাজধানীর আগরতলায় মানুষের ঘরে বিদ্যুত ছিল না। আজ বিজেপির সুশাসনে প্রতি ঘরে বিদ্যুত পৌছে গিয়েছে। আয়ুষ্মান কার্ডের দৌলতে গরীব মানুষের চিকিত্সা পরিষেবা নেওয়ার সুযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় সাড়ে ১২ লক্ষ মানুষ ওই আয়ুষ্মান কার্ডের সুযোগ পাচ্ছেন।
রাজনাথ সিং বলেন, পরিবর্তিত ত্রিপুরায় আজ নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের ছবি দেখা যায় না। শুধু তাই নয়, গরীবের শোষণ আজ ত্রিপুরায় বন্ধ হয়েছে। উন্নয়ন সকল অংশের মানুষের কাছে পৌছেছে, দৃঢ়তার সাথে বলেন তিনি।

তাঁর কথায়, দেশে স্বাধীনতার পর দীর্ঘ বছর জনজাতিরা নানাভাবে উপেক্ষিত হয়েছেন। অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জনজাতিদের জন্য পৃথক মন্ত্রক করেছিলেন। সাথে তিনি যোগ করেন, ২০১৪ সালে জনজাতিদের বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ২১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু, এখন সেই বাজেট বেড়ে হয়েছে ৮১ হাজার কোটি টাকা। ত্রিপুরা সরকার ১.২ লক্ষ জনজাতিকে জমির পাট্টা দিয়েছে। তবুও, জনজাতিদের বিভ্রান্ত করে সিপিএম ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে। তাঁর কটাক্ষ, সিপিএম মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। বিজেপি চোখে চোখ রেখে ক্ষমতায় টিকে থাকবে।
তাঁর দাবি, বিজেপি উগ্রপন্থার অভিশাপ থেকে ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে মুক্ত করেছে। এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। যোগাযোগের বিস্তারে ত্রিপুরা এখন উন্নয়নের গতি ধরেছে। অতীতে, যোগাযোগের অভাবে পিছিয়ে গিয়েছিল ত্রিপুরা, আক্ষেপ করে বলেন তিনি।তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। কোন রাষ্ট্র এখন ভারতকে দুর্বল ভাবে না। বরং, ভারত কি বলতে চায়, তা শুনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। সাথে তিনি যোগ করেন, ভারত এখন অন্য দেশে সহায়তা পাঠাচ্ছে। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার সাথে অন্য দেশকেও সহায়তা করছে। ভারতের এই মহানুভবতা সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। এই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে ত্রিপুরার উন্নয়নের স্বার্থে তিনি আজ ভোটারদের বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করার আবেদন জানিয়েছেন।

