কলকাতা, ৪ ফেব্রুয়ারি (হি স)। সোমবার কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে চলেছে সমাবর্তন। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষায় উন্নয়ন সংক্রান্ত অবদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি লিট সম্মানে ভূষিত করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাফায়েল জে হাইড।
ওই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোট ৭৭০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতেও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে বলে ওই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সদ্য হাতেখড়ি হওয়া ‘বঙ্গপ্রিয়’ বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্য সরকারের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদাধিকারে হন রাজ্যপাল। সেন্ট জেভিয়ার্সে অবশ্য তা নয়, কেননা সেটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী কার হাত থেকে ডি লিট নেন সেইদিকে সারা বাংলার মানুষ কিন্তু তাকিয়ে থাকবেন।
২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি লিট সম্মানে ভূষিত করেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলার তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে ডি লিট নিয়েছিলেন তিনি। ‘নিরলস সাহিত্য সাধনা’-র জন্য ওই পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও ডি লিট সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বীকৃতিপ্রাপ্তি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কম বিতর্ক কিছু হয়নি। এমনকি তা নিয়ে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। পরবর্তীকালে এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, পুরস্কার স্পৃহা তাঁর নেই। তিনি কাজের মধ্যেও লেখালিখি করেন। ব্যস্ততার মাঝেই কবিতা লেখেন। তাঁর একাধিক বই রয়েছে এবং বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ তাঁর লেখা বই। বই বিক্রি হলেও কেন তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি লিট উপাধির পাশাপাশি ওড়িশার ভুবনেশ্বরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট দিয়েছিল। এবার সেন্ট জেভিয়ার্সের দেওয়া ডি লিট নিয়ে বিতর্ক হয় কিনা, তার দিকে সকলে তাকিয়ে থাকবে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত একটি প্রশাসনিক ভবনেরও উদ্বোধন করবেন। এই ভবনেই সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্টার ও কন্ট্রোলারের অফিস হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, বছর পাঁচেক আগে নিউটাউনে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই ভবনের জমিও রাজ্য সরকার দিয়েছিল।