BRAKING NEWS

‘পশ্চিমবঙ্গে সংগঠিত অপরাধ’ নিয়ে উপেন বিশ্বাসের মন্তব্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া

কলকাতা, ৩ ডিসেম্বর (হি. স.) : ‘পশ্চিমবঙ্গে একটার পর একটা সংগঠিত অপরাধ’ নিয়ে সিবিআইয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত ডিজি তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ডঃ উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে নেটানাগরিকদের মধ্যে।

শনিবার তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “বিগত ১০-১২ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে একটার পর একটা সংগঠিত অপরাধ ঘটার ফলে সমাজব্যবস্থা চূরমার হয়ে গেছে।“ এই পোস্টের দু’ঘন্টা বাদে, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার হয়েছে যথাক্রমে ৩৭৫, ৪৩ ও ১৭।

শান্তনু মন্ডল লিখেছেন, “একদম খাঁটি কথা । সহমত পোষণ করি।“ গোবিন্দ বিশ্বাস লিখেছেন, “ঠিক বলেছেন।“ অমল আচার্য লিখেছেন, “নীরব দর্শক আমরা কি এর জন্যে দায়ী নই? লালুর রাজত্বে বিহার কি এর চাইতেও খারাপ ছিল?” তাপস মজুমদার লিখেছেন, “আপনি এই বিষয়ে একটা লেখা লিখুন, মানুষ খুব অসহায়।“

তাপস সরকার লিখেছেন, “বিশেষ করে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পুর্ন শেষ।” শ্যামসুন্দর সরকার লিখেছেন, “সমস্ত রাজ্যটাই পঙ্কিলতায় পরিপূর্ণ। শুধু সস্তার রাজনীতি তে বাঙালি অলস হয়ে পড়ছে, এদেরকে ভুলিয়ে রাখা হচ্ছে। স্বচ্ছতা কোথাও নেই।” সুশীল সরকার লিখেছেন, “রোগের ঔষধ কই?“

উৎপল ভদ্র লিখেছেন, “অতি বাস্তব কথা স্যার. এদের না হটালে বাংলা ধ্বংস অনিবার্য।“ পশ্চিমবঙ্গ বারুজীবী বারুই লিখেছে, “গত এক হাজার বছর ধরে ব্রাহ্মণ্য শ্রেণী ও তাদের তাবেদার দলিত সমাজের একাংশ সংগঠিত অপরাধ নামিয়ে এনেছে বহুজন সমাজের উপর।”

সমরেশ ভট্টাচার্য লিখেছেন, “আপনি প্রথম পাঁচ বছর মন্ত্রী ছিলেন। আপনি দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।”

রণজিৎ পাল লিখেছেন, “আপনি এখন কোন পার্টিতে আছেন মহাশয়? নিজের আশেপাশের লোক গুলো সবাই ভালো তো? আর যে কোন অপরাধের কথা বলছেন যার জন্য সমাজ ব্যবস্থা খারাপ হচ্ছে?
অন্য রাজ্যের সব ঠিক আছে তো? যদি থাকে তবে কোনো কথা নয়। কিন্তু যদি না থাকে তবে সেগুলো নিয়েও কিছু বলেন না কেন?”

প্রণব কুমার রায় লিখেছেন, “সত্য বলেছেন,তবে আপনিও যুক্ত ছিলেন সেই সংগঠিত অপরাধীদের সঙ্গে।“ প্রদীপ কুমার বর লিখেছেন, “সেই অপরাধ চক্রে আপনিও ছিলেন। সব পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয় না !“ সুপ্রিয় কুমার প্রামাণিক লিখেছেন, “হার্মাদ জমানার সমাজব্যবস্থা নিয়ে এখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন? আর ইউপি, বিহার সহ গেরুয়া বলয়ে আপনিই তো ভান্ডা ফুঁড়েছিলেন! আপনার কি এখনই চক্ষু চড়ক গাছ? আপনার বিধাননগরের বাড়ীতেও তো মাদক দ্রব্যের লেনদেন হয়েছিল। তার থেকে রেহাই পেতে কি এখন এই অতি বিপ্লবীর ভূমিকায় নেমে পড়েছেন?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *