Missing woman with two children in Kalyanpur : কল্যাণপুরে দুই সন্তান সহ নিখোঁজ মহিলা, পুলিশের তদন্ত নিয়ে জনমনে উঠছে প্রশ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কল্যাণপুর, ১৮ অক্টোবর৷৷ রাজ্যে অস্বাভাবিক ঘটনার যেনো কোন কমতি নেই৷ রাজ্যে মূলতঃ প্রায় প্রতিদিনই সংবাদ শিরোনামে রয়েছেই বিভিন্ন ধরনের অপরিত্যক্ত জায়গায় মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা থেকে শুরু করে হীরা পুত্র খাঁকি ঊর্দিধারীর নাকের ডগা থেকেই নিখোঁজ হওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন ঘটনা৷ যদিও হীরার টুকরো পুলিশ বাবুরা বরাবরের মতোই রয়েছে ঠুঁটু জগন্নাথের ভূমিকায়৷ এইবার প্রকাশ্যে দিনদুপুরে বিদ্যালয়ে পাঠরত এক নাবালক ছেলে ও এক নাবালিকা মেয়ে সহ নিজ বাড়ি থেকে আচমকা এক গৃহবধূ রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়৷ ঘটনা কল্যাণপুর থানাধীন স্থানীয় দশমীঘাট এলাকার ১ নং ওয়ার্ডে৷ উল্লেখ্য, গৃহবধূ সহ ছেলে ও মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার জেরে গোটা কল্যাণপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷


ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় দশমীঘাটের বাসিন্দা সঞ্জিত দাসের স্ত্রী শিবানী দাস (২৯), নাবালক ছেলে সাগর দাস (১২), নাবালিকা কণ্যা সুপ্রভা দাস (৯) কে সঙ্গে নিয়ে গত ৬-ই সেপ্ঢেম্বর ডাক্তার দেখানোর জন্য তাঁর এক নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়৷ কিন্তু সেই দিনের পর থেকেই আর কোনরকম হদিস পাওয়া যাচ্ছে না স্ত্রী শিবানী দাস সহ নাবালক ছেলে মেয়ে কারোরই৷ পরবর্তীতে পরিবারের তরফ থেকে নিকটাত্মীয় থেকে শুরু করে সকল জায়গায় দফায় দফায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও যখন স্ত্রী পুত্র ও কন্যা কারোরই কোনরকম খোঁজ মেলে নি তখন বাধ্য হয়ে সর্বহারা স্বামী সঞ্জীত দাস অবশেষে ১৬ দিনের মাথায় বিগত ২১-শে সেপ্ঢেম্বর কল্যাণপুর থানার দ্বারস্থ হয়ে উক্ত ঘটনার বিবরণ দিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া স্ত্রী সহ নাবালক ছেলে ও মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে৷ কিন্তু কল্যাণপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার আজ ২৭ দিন অতিক্রান্ত হতে চললেও হীরা পুত্র খাঁকি উর্দিধারী বাবুরা আজও নিখোঁজ হয়ে যাওয়া গৃহবধূ সহ ছেলে ও মেয়ে’’র মধ্যে কাউকেই উদ্ধার করতে পারে নি৷


এইদিকে পুলিশ বাবুরা রয়েছে একপ্রকার দিবানিদ্রায় আচ্ছন্ন বলা চলে৷ যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহল জুড়ে৷ তবে এইদিকে আবার এরই মাঝে দিনমজুর স্বামী সঞ্জিত দাসের কাছে একটি সূত্র মারফত খবর আসে যে, তাঁর স্ত্রী শিবানী দাস, নাবালক ছেলে সাগর দাস, নাবালিকা মেয়ে সুপ্রভা দাস-কে বহিঃরাজ্যে নিয়ে গিয়ে নাকি আটকে রাখা হয়েছে৷ তবে এই ঘটনার জন্য স্বামী সঞ্জিত দাস মূলতঃ দায়ী করেন তাঁর নিকটাত্মীয় হরিমোহন বর্মনকে৷ উল্লেখ্য, হরিমোহন বর্মন আবার নিখোঁজ গৃহবধূ শিবানী দাসের বোন জামাই তথা জাম্বু৷ উল্লেখ্য, গৃহবধূ নিখোঁজ কান্ডে অভিযোগের তীর হরিমোহন বর্মনে’’র বাড়ি খোয়াই থানাধীন দুর্গানগর এলাকায়৷ কিন্তু পেশায় সে একজন সাধারণ রং-মিস্ত্রি৷ আর এই রং-মিস্ত্রি পেশার জন্যই নাকি বর্তমানে সম্প্রতি ৩ মাস ধরে হরিমোহন বর্মন কল্যাণপুরের কুঞ্জবন এলাকার স্থানীয় কোন এক বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে থাকতো — এমনটাই মূলতঃ অভিযোগ করে জানিয়েছেন স্ত্রী পুত্র ও কন্যা সর্বহারা স্বামী সঞ্জিত দাস৷


এইবার সর্বহারা স্বামী সঞ্জিত দাস সমস্ত ঘটনার ইতি বৃত্তান্ত টেনে অবশেষে কল্যাণপুর থানার পুলিশ বাবুদের কাছে গিয়ে অভিযুক্ত হরিমোহন বর্মণ’’র বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে ও নিখোঁজ স্ত্রী সহ নাবালক ছেলে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ পরবর্তীতে কল্যাণপুর থানার পুলিশ উক্ত ঘটনার জেরে একটি মামলা গ্রহণ করে৷ যার নম্বর — ১০১/২১, ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৬৩/৩৪ নং ধারায়৷ যদিও আজ পর্যন্ত ৪২ দিন অতিক্রান্ত হতে চললেও নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে কাউকেই হীরার টুকরো খাঁকি ঊর্দিধারী পুলিশ বাবুরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় নি৷ তবে এইদিকে গোটা কল্যাণপুর এলাকায় বাড়ি থেকে প্রকাশ্যে দিনদুপুরে দুই নাবালক শিশু সন্তান সহ গৃহবধূর রহস্যজনক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় যেমন চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঠিক তেমনই হীরার রাজ্যের হীরার টুকরো পুলিশ বাবুদের অশ্বডিম্বাকৃতির ভূমিকাকে ঘিরে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহলজুড়ে বর্তমানে একপ্রকার ক্ষোভ বিরাজ করছে ইতিমধ্যে৷