BRAKING NEWS

সরকারের মদতেই দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর (হি. স.) : ক্ষমতায় টিকে থাকতে স্পর্শকাতর বিষয়ে উসকানি দিয়ে সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারের মদদপুষ্টেই দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ঘোলা জলে মাছ ধরার নীতি দলটির ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই অশান্ত বাংলাদেশ। দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর থেকে শুরু করে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলা এমনকি ইস্কন মন্দিরে হামলা । সাম্প্রদায়িক এই হিংসায় এখনও প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে সেদেশের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে দেশটির বিরোধী দল বিএনপি।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, কুমিল্লার পূজামণ্ডপে হামলার শুরু থেকেই সরকার বিএনপিকে জড়ানোর অচেষ্টায় লিপ্ত। শুধু এখন নয়, যখনই দেশে কোনও ঘটনা ঘটে তখনই সেখানে বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়। অথচ কাজগুলো করে আওয়ামী লীগ। এ ঘটনায় সরকার এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, সরকারের মদদপুষ্টেই দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ঘোলা জলে মাছ ধরার নীতি দলটির ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।


বিএনপি মহাসচিব এও বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। তাদের উপাসনালয় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এই দুষ্কৃতকারীরা প্রায় সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মানুষের নিরাপত্তার অভাবসহ যেসব সংকট রয়েছে সেখান থেকে দৃষ্টি দূরে সরাতে, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। সরকার তার এজেন্ট দিয়ে ঘটিয়ে গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির সংগ্রামকে ভিন্ন খাতে নিতে চাচ্ছে। বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের উদাসীনতার কারণে এগুলো হয়েছে। তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। পুলিশ বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিলে নানুয়া দীঘির পাড়ের মণ্ডপের ঘটনাটি নির্মম অমানবিকতার দিকে গড়াত না। সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মির্জা ফখরুল।


নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, পবিত্র কুরআন অবমাননা, পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে নিরাপত্তা বিধান না করে হামলা-ভাঙচুর-সংঘাত ও সংঘর্ষকে উসকে দিয়ে দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে সরকার। এতে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চক্রান্তে মেতে উঠেছে ক্ষমতাসীনরা। গণতন্ত্রের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে সরকার সাম্প্রদায়িক সংঘাতের উপকরণ ছড়িয়ে সহিংস রক্তাক্ত পরিস্থিতিতে উদ্ধারকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি পেতে চায়। কিন্তু বর্তমান যুগে কিছুই ঢেকে রাখা যায় না। সত্য প্রকাশ পাবেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *