নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনিয়া, ৯ অক্টোবর ।। সরকারের এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা করার প্রয়াসকে কিছুতেই আমল দিতে নারাজ এক শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী। তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ উঠে এলো বিলোনিয়া মহকুমার ঋষ্যমুখ বিধানসভার অন্তর্গত রতনপুর বাজার এলাকায়। প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ করার তাগিদে সাধারণ মানুষের জীবনকে তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র দায়সারা ভাব নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের সমস্যার অন্ত নেই। দপ্তরের এহেন গাফিলতির জ্বলন্ত প্রমাণ মিলেছে জোলাইবাড়ি থেকে বিলোনিয়া পর্যন্ত জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে মাটি কাটার ফলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ১১০০০ ভোল্টেজ লাইটপোস্ট সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকে রয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার জন্য। অথচ মৌখিক এবং লিখিতভাবে দপ্তরের আধিকারিক এর নিকট জানালেও বিগত সাত দিন যাবত টনক নড়েনি দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরের কর্মচারীদের। এই খামখেয়ালীপনায় যেকোনো সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
প্রসঙ্গত দোকানের উপর ঝুঁকে থাকা ১১০০০ ভোল্টেজের এস টি লাইন এর কথা উল্লেখ করে দোকান মালিক রাজেন্দ্র ত্রিপুরা দপ্তরকে বারবার অনুরোধ করা সত্বেও দপ্তরের কর্মচারীদের মুখে শোনা যায় অন্য গল্প। দোকান মালিকের উপর বিরক্তি প্রকাশ করে দোকান মালিককে দপ্তরের কর্মচারী জানান, ল্যাম্পপোস্ট যখন ভেঙে পড়বে তখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনই জানান অভিযোগকারীরা। পাশাপাশি দোকান মালিক আরো বলেন, রাত্রিকালীন সময়ে আনন্দ ত্রিপুরা নামে এক নিকট আত্মীয় এই দোকানেই রাত্রিযাপন করেন, যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে এর দায়ভার কে নেবে। দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের এই ধরনের গাফিলতির পেছনে কি ধরনের মতলব লুকিয়ে আছে জনমনে এখন এটাই প্রশ্ন।