নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ অক্টোবর৷৷ আবরও খেলার মাঠে রক্তারক্তি কান্ড৷ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে মাঠেই মারধরের ঘটনা৷ এবারে অমরপুরে৷ পুলিশ ও টিএসআর পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো আক্রমণের মুখে পড়েন৷ জানা গিয়েছে এই মারধরে একজন টিএসআর জওয়ানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ আহতরা দুই দলেরই৷
সংবাদে প্রকাশ, অমরপুরে ফুটবল খেলা চলছিল দুই দলের মধ্যে৷ খেলা চলাকালীন কোন একটি বিষয় নিয়ে দুই দলের মধ্যে প্রথমে বাক বিতন্ডা শুরু হয়৷ বাকবিতন্ডা থেকে একসময় হাতাহাতি৷ মুহুর্তের মধ্যেই মাঠের বাইরে থাকা দুই দলের সমর্থকরা মাঠের মধ্যে প্রবেশ করে এবং পরস্পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে৷ ব্যাপক মারধর চলে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে৷ একসময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে৷ মাঠরে বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও টিএসআর জওয়ানরা মাঠে প্রবেশ করে দুই দলের সমর্থকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে৷ কিন্তু, মাঠের বাইরে থাকা কিছু লোক ইট পাথর ছুড়ে মারতে থাকে৷ তাতে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও সমর্থক আহত হয়েছেন৷ পাশাপাশি এক টিএসআর জওয়ানও আহত হয়েছেন বলে খবর৷ এদিকে, এদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷
প্রসঙ্গত, প্রায়ই ফুটবল খেলা নিয়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনা ঘটে৷ গত ত্রিশ সেপ্ঢেম্বর ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে লঙ্কাকান্ড৷ মারপিট সাথে ফুটবল কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে খেলা স্থগিত রেখে সুষ্ঠ তদন্ত চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরও করা হয়েছে৷ ঘটনা কদমতলা থানাধীন কালাছড়া এপিজি আব্দুল কালাম নক আউট টুর্নামেন্টে৷ গত ৩০-৮-২১ তারিখ থেকে উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন কালাছড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এপিজি আব্দুল কালাম নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়৷ এই নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টে ৩২টি দল অংশ করে৷ বিগত দিনগুলোতে শান্তি পূর্ণ ভাবে ফুটবল ম্যাচটি সম্পূর্ণও হয়৷ ওইদিন ছিল সেমিফাইনাল৷ যথারীতি শুরু হয় সোনালী শিবির একাদশ বনাম শাখাইবাড়ি একাদশের সেমিফাইনাল ম্যাচটি৷ কিন্তু ম্যাচ শুরুতে কমিটি সহ রেফারি ও লাইনসম্যান পক্ষপাতিত্ব করে বলে অভিযোগ করে সোনালী শিবির একাদশ৷
খেলার প্রথমার্ধে দুটি গোল করলেও সেই গোল গুলি ফাউল বলে রেফারির বাঁশি পড়ে৷ কিন্তু খেলার দ্বিতীয়ার্ধেও একই কায়দায় অপর একটি গোলকে ফাউল করে খেলা বন্ধ করে দেয় ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটি বলে অভিযোগ৷ তারপর শুরু হয় হইহুল্লোড় ও মারপিট৷ তারপর সোনালী শিবির একাদশ কদমতলা থানার শরণাপন্ন হয়ে লিখিত আকারে ঘটনাটির সঠিক তদন্তের আবেদন জানান৷কদমতলা থানার পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে৷
এদিকে সোনালী শিবির একাদশের অভিযোগ, তাদের সেমিফাইনালে জয় নিশ্চিত ছিল৷আর ফাইনালে শিরোপাও সোনালী শিবির দখল করতো৷তাই সোনালী শিবির একাদশকে এই টুর্নামেন্টে থেকে ছাঁটাই করার উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটি এহেন আচরন করছে৷ এভাবে যদি খেলার মাঠে মারপিটে ও রক্তারক্তি কান্ড ঘটে তাহলে শান্তি সম্প্রীতির যে ঐতিহ্য খেলার মাঠে দেখা যেত তা উধাও হয়ে যাবে অদূর ভবিষ্যতে৷

