নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৩ অক্টোবর৷৷ মোবাইলের টাওয়ার বসানোর কেন্দ্র করে জেলাশাসক সহ স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডঃ অতুল দেববর্মনকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছু না হওয়াতে অবশেষে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে প্রমিলা বাহিনী৷ পরবর্তী সময় পুলিশের হস্তক্ষেপে আপাতত কাজ স্থগিত৷ ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ মহারাণীপুর এলাকায় রবিবার দুপুরে৷
খবরে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া থানাধীন লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ মহারাণীপুর এলাকায় শাসকদলীয় এক নেত্রীর স্বামীর জায়গায় মোবাইলের টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হয়৷ আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এলাকার প্রমিলা বাহিনী৷ জানা যায়, মহারানীপুর এলাকার বাসিন্দা জীবন বিশ্বাসের জুতের জায়গার উপর মোবাইলের টাওয়ার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ কিন্তু এতে বাঁধা দান করে এলাকাবাসী৷ তাদের বক্তব্য, এই এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানোর হলে ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেরই অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে৷ কারণ এই মোবাইলের টাওয়ার বসানো স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর৷
মহারানীপুর এলাকার বাসিন্দা শ্যামল সরকার সহ ২৫ টি পরিবারের লোকজন খোয়াই জেলাশাসক, তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক, স্থানীয় পঞ্চায়েত সহ স্থানীয় বিধায়ককে গোচরে বিষয়টির নিলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের৷ অপরদিকে, জীবন বিশ্বাসের স্ত্রী তথা খোয়াই জেলা পরিষদের সদস্যা সাবিত্রী দেব বিশ্বাস জানিয়েছেন, এলাকাবাসীদের সঙ্গে তিনি কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করবেন৷ যদি এলাকাবাসী না মানে তবে তিনি পুলিশ ডাকতে বাধ্য হবেন৷
তবে সরকারি নিয়ম রয়েছে, মোবাইল টাওয়ার বসানো হলে যে স্থানে টাওয়ার বসানো হবে এর চারপাশের জনগণের অনুমতি থাকতে হবেএবং যেই ওয়ার্ডে এই টাওয়ার বসানো হবে সেই ওয়ার্ডের মেম্বারের অনুমতি থাকা আবশ্যক৷ কিন্তু স্ত্রী শাসকদলীয় নারীনেত্রী হওয়ার সুবাদে জীবন বিশ্বাস এসব আইনের নিয়ম-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে গ্রাম প্রধানকে ম্যানেজ করে টাওয়ার বসানোর কাজে উদ্যত হন৷

