চান্নির সঙ্গে বৈঠক, সম্ভবত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকছেন সিধু

চণ্ডীগড়, ৩০ সেপ্টেম্বর (হি.স) : বৃহস্পতিবার বিকালে চণ্ডীগড়ে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত্‍ সিং চান্নির সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত্‍ সিং সিধু। সূত্রের খবর, এদিন চান্নির সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পরে অনেকেই মনে করছেন, সিধু হয়তো প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ নাও ছাড়তে পারেন। ২০২২ সালে পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট হবে। এদিন সকালে সিধুর ঘনিষ্ঠ এক কংগ্রেস নেতাও বলেন, প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিক সিধুর নেতৃত্বেই সম্ভবত আগামী বছরে ভোটে লড়বে কংগ্রেস।

এদিন দুপুরে সিধু টুইট করে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আলোচনার জন্য ডেকেছেন। তাঁর সঙ্গে যে কোনও বিষয় নিয়েই আমি কথা বলতে পারি।’ সিধুর উপদেষ্টা মহম্মদ মুস্তাফা বলেন, ‘শীঘ্রই সব বিতর্কের অবসান হবে।’ পরে তিনি বলেন, ‘সিধু অনেকসময় আবেগের বশে কাজ করেন। কংগ্রেস নেতৃত্ব সেকথা জানে। অমরিন্দর সিং তো দলের নেতাদের গুরুত্বই দেন না। সিধু সেরকম নন।’ শোনা যায়, নতুন মখ্যমন্ত্রী চরণজিত্‍ সিং চান্নি রাজ্য সরকারের কয়েকটি উঁচু পদে এমন কয়েকজনকে নিয়োগ করেছিলেন যাঁদের সিধুর পছন্দ হয়নি। সেজন্যই তিনি দলীয় পদ ছেড়েছিলেন।


পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপটেন অমরিন্দর সিংকেও নিয়ে চলছে জল্পনা। তিনি দিল্লিতে এসে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। এই খবর শোনার পরে অনেকের ধারণা হয়, বিক্ষুব্ধ অমরিন্দর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যদিও বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। তবে কংগ্রেসেও আর থাকবেন না। পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার জন্য অমিত শাহের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস বাকি থাকতে তাঁকে সরিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড দলিত চরণজিত চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করায় ক্ষুব্ধ, অপমানিত বোধ করছেন অমরিন্দর।

অমিত শাহের বৈঠকের পর অমরিন্দর ট্যুইট করেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁকে নয়া কৃষি আইন বাতিল, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করে সমস্যা সমাধানের আবেদন করেছেন।