Road accident at different parts of states : পৃথক স্থানে যান সন্ত্রাসে বৃদ্ধের মৃত্যু, গুরুতর আহত চারজন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/চুড়াইবাড়ি, ২৬ সেপ্ঢেম্বর৷৷ নাতির বর্তে পুরোহিত নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন দাদু৷ কিন্তু যাওয়া আর হলোনা৷ টমটম দুর্ঘটনায় দাদুর মর্মান্তিক মৃত্যু হল৷ দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে কমলপুর থানাধিন বিষ্ণুপুর -লাম্বুছড়া ফাঁড়ি পথে৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, পশ্চিম লাম্বুছড়ার কন্দপাড়ার বাসিন্দা মেঘা কন্দ (৬০) নিজের নাতির বর্ত করার জন্য বিষ্ণুপুর থেকে পুরোহিত নিয়ে টমটম দিয়ে যাচ্ছিলেন নিজের বাড়িতে৷ এছাড়া অনুসঙ্গিক জিনিস পত্র ছিল৷


বিষ্ণুপুর-পশ্চিমলম্বু ছড়া রোড ধরে টমটমটি যখন এগুতে থাকে হঠাৎ একটি আপের কাছে এসে টমটমটি পেছনের দিকে নামতে থাকে৷ তখন গাড়িতে থাকা পুরোহিত ও চালক লাফ দিয়ে বেঁচে যায়৷ কিন্তু মেঘা কন্দ আর বের হতে পারেনি৷ সে টমটমের ভিতর গুরুতর আহত হয়৷ লোকজন অগ্ণি নির্বাপক দপ্তরে খবর দিলে তারা গিয়ে বারটা নাগাদ বিএসএম হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে৷ জানা যায়, ছেলের বিয়ের দশ বছর পর নাতি আসে সংসারে৷ স্বাভাবিক ভাবে দাদু ছিল উৎফুল্য৷ কিন্তু কে জানতো নাতির বর্তের দিন দাদুকে এভাবে চলে যেতে হবে? এলাকায় শোকের ছায়া৷ পুলিশে দুমড়ে ও মুচড়ে যাওয়া টমটমটি আটক করেছে৷


এদিকে, বোলেরো গাড়ির ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে পড়ে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন পিতা পুত্র৷ ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যা রাতে বিশ্রামগঞ্জ থানাধীন লাটিয়াছড়া বাজারে৷ আহতদের বাড়ি মেলাঘরের মায়ারাণী গ্রামে৷ বিক্রম দাস পুত্র বিশাল দাসকে নিয়ে গোলাঘাটী বিধানসভার নব শান্তিগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন৷ ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তারা৷ দ্রুতগামী বোলেরো গাড়ি ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়৷ গাড়ির ধাক্কায় মারাত্মকভাবে আহত হয় বিকাশ দাস (৭) এবং বিক্রম দাস (৩৬)৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বোলেরো গাড়িটি দ্রুতগতিতে এসে বাইকটিকে ধাক্কা মারে৷ খবর পেয়ে বিশ্রামগঞ্জ অগ্ণিনির্বাপক দফতরের কর্মীরা আহত পিতা-পুত্রকে উদ্ধার করে বিশ্রামগঞ্জ প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ বিশাল দাস এর একটি হাত এবং বিক্রম দাস এর একটি পা ভেঙ্গেছে৷ বিক্রম দাস বুকে আঘাত পেয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান৷ বিক্রম দাস এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জিবিপি হাসপাতালে রেফার করেন৷ বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ দুর্ঘটনাস্থল থেকে বাইকটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান৷


অন্যদিকে, দাড়িয়ে থাকা রোলারের সাথে ওয়েল ট্যাঙ্কার গাড়ির ধাক্কাতে গুরুতর ভাবে আহত ট্যাঙ্কার গাড়ির চালক ও সহ চালক৷ পুলিশি ঘটনাস্থল থেকে আহতদের ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সহচালকের অবসা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রেফার করা হয়৷ঘটনাস্থল থেকে দূর্ঘটনা গ্রস্ত ওয়েল ট্যাঙ্কার গাড়িটি পুলিশ ধর্মনগর থানায় নিয়ে আসে৷সাথে একটি পথদূর্ঘটনার মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ঘটনাটি সংঘটিত হয় শনিবার মাঝরাতে ধর্মনগর থানাধীন ধর্মনগর পানিসাগর সড়কের কৃষ্ণপুর এলাকায়৷


শনিবার মাঝরাতে উত্তর জেলার ধর্মনগর থানাধীন ধর্মনগর পানিসাগর সড়কের কৃষ্ণপুর এলাকায় ঘটে গেল এক ভয়াবহ পথ দূর্ঘটনা৷টি আর জিরো টু বি আঠারো ষোলো নম্বরের একটি ছয় চাকার ওয়েল ট্যাঙ্কার গাড়ি আগরতলা থেকে ধর্মনগরের উদ্যেশ্যে আসছিল৷ধর্মনগর পানিসাগর সড়কের কৃষ্ণপুর এলাকায় আসার পর ওয়েল ট্যাঙ্কার গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি রোলারের সাথে সজোরে ধাক্কা মারে৷তাতে দুমরে মুচড়ে যায় ওয়েল ট্যাঙ্কার গাড়িটি৷ গুরুতর ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয় ওয়েল ট্যাঙ্কার চালক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও সহচালক অভিজিৎ দে৷ উভয়ে বাড়ি ধর্মনগর থানা এলাকায় বলে জানা গেছে৷ ঘটনার খবর পেয়ে ধর্মনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তাপ্লুত চালক ও সহচালককে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ বর্তমানে জেলা হাসপাতালে চালকের চিকিৎসা চললেও সহ চালকের অবসা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রেফার করা হয়৷

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দূর্ঘটনা গ্রস্ত ওয়েল ট্যাঙ্কার গাড়িটি দ্রুত গতির ফলেই এই দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে৷ তাছাড়া আগরতলাতে ওয়েল খালি করে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে আসছিল চালক ও সহ চালক৷ পাশাপাশি ধর্মনগর থানার পুলিশ একটি পথদূর্ঘটনার মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷সাথে দূর্ঘটনা গ্রস্ত ওয়েল ট্যাঙ্কার গাড়িটি পুলিশ ধর্মনগর থানায় নিয়ে আসে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *