আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : আদালত সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য রাজনৈতিক পরিমন্ডলে ঝড় তুলেছে। তিনি আদালত অবমাননা করেছেন, নালিশ নিয়ে আজ কয়েকজন আইনজীবী ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্ত, ত্রিপুরা হাইকোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে বিতর্কে জড়াতে চাননি। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ এ কুরেশী এবং বিচারপতি এস জি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করেননি। এদিন আদালতে বরিষ্ঠ আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মণ, সোমিক দেব সহ আরো কয়েকজন আইনজীবী হাইকোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।
ওই মামলার শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল সওয়াল করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে এবং জনসমক্ষে মিথ্যা খবর উপস্থাপন করে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা হচ্ছে। তিনি আদালতে সামাজিক মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি তুলে ধরেন এবং দাবি করেন, আদালত সম্পর্কে অমর্যাদাপূর্ণ বক্তব্য রাখার কোন অভিপ্রায় তাঁর ছিল না।
মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, সরকার এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে অসন্মানের পরিবেশ তৈরী করার লক্ষ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া আমার বক্তব্যকে রং মাখিয়ে এবং ভুল তথ্য নির্ভর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে এবং দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সাফ জানাচ্ছি, আদালতের প্রতি আমি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করি এবং বিচার বিভাগের মহিমা বজায় রাখার দায়িত্ব আমার আছে।
তিনি আরও লেখেন, আদালতকে অবজ্ঞা কিংবা আদালতের আদেশকে অসন্মান করার জন্য সরকারী আধিকারিকদের আমি কোন নির্দেশ দেয়নি। আমার বক্তব্যের সাথে সাযুজ্য না রেখেই খবর প্রকাশিত হয়েছে। হাইকোর্ট সমস্ত বক্তব্য শুনে ওই মামলা খারিজ করে দেন এবং মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টীকরণ দিয়েছেন, তাই আদালত বিতর্কে জড়াতে চাইছে না।