Law cannot be different for everyone : আইন সকলের জন্যই, অভিষেকের জন্য পৃথক হতে পারে না : সুস্মিতা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ সেপ্ঢেম্বর৷৷ আইন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং তৃণমূল সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আলাদা হতে পারে না৷ তাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র এবং বিজেপির ফ্যাসিবাদী মডেল ত্রিপুরায় মানুষ প্রত্যাখ্যান করবেন৷ আজ আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই ত্রিপুরা সরকার এবং বিজেপিকে নিশানা করেছেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব৷


এদিন তিনি বলেন, ১ সেপ্ঢেম্বর থেকে ত্রিপুরায় বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছি৷ ত্রিপুরা সরকার এবং পুলিশের কারণে তৃণমূল কংগ্রেস বড় সভার আয়োজন করতে পারিনি৷ তাঁর দাবি, সময়ের সাথে সকলেই জানতে পারবেন কীভাবে ত্রিপুরার মানুষ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করছেন৷
আগরতলায় পদযাত্রার অনুমতি না পাওয়ায় সুস্মিতার বক্তব্য, আদালত বলেছে তারা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না৷ সিআরপিসি-এর ১৪৪ ধারায় ৫ জনের বেশি লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ কিন্তু এই আইন ভিন্ন মানুষের জন্য আলাদা হতে পারে না৷ সুস্মিতা প্রশ্ণ তুলেন, ১৪৪ ধারা জারি করা হলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব পোলো টাওয়ার হোটেলে ডিনারের আয়োজন করলেন কিভাবে৷ তাহলে মনে হচ্ছে, ১৪৪ ধারা কেবল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দলের জন্য, কটাক্ষের সুরে বিধলেন তিনি৷
তাঁর সাফ কথা, আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না৷ কিন্তু আইন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আলাদা হতে পারে না৷ তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির ফ্যাসিবাদের মডেল ত্রিপুরার মানুষ প্রত্যাখ্যান করবেন৷


এদিন তৃণমূল সাংসদ ডা: শান্তনু সেন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু ত্রিপুরা সরকার বারবার আমাদের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে৷ তিনি বলেন, আমরা ১৫ সেপ্ঢেম্বর একটি সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম এবং ১১ সেপ্ঢেম্বর অনুরোধপত্রটি জমা দিয়েছিলাম৷ কিন্ত অন্য রাজনৈতিক দল একটি সমাবেশের আয়োজন করবে, তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে অনুমতি দেয়নি পুলিশ৷ তিনি আরও বলেন, এরপর আমরা ১৩ সেপ্ঢেম্বর আরেকটি অনুরোধপত্র জমা দিয়েছিলাম এবং ১৬ সেপ্ঢেম্বর মিছিল করতে চেয়েছিলাম৷ বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য সেই আবেদন গ্রহণ করেনি পুলিশ৷ তাই ১৬ সেপ্ঢেম্বর আবারও অনুরোধ জানিয়ে ২২ সেপ্ঢেম্বর পদযাত্রার অনুমতি চেয়েছিলাম৷ এ-বিষয়ে ডিজি এবং এডিজির সঙ্গে কথাও বলেছিলাম৷ কিন্ত, তাতেও কোন সুরাহা হয়নি৷ তাই, আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই৷ তবে, আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না, বলেন তিনি৷


এদিন তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি প্রমাণ করেছে ত্রিপুরার বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় পাচ্ছে৷ কারণ, তৃণমূলের সাথে জনগণের সমর্থন রয়েছে৷ তাঁর দাবি, ১৪৪ ধারা জারি করা হলে দুর্গাপুজো এবং দীপাবলির মতো আসন্ন উৎসবগুলি উপভোগ করার ক্ষেত্রে মানুষের অধিকার হ্রাস পাবে৷