নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,২১ সেপ্টেম্বর।। উত্তর ত্রিপুরা জেলার ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব আনার মঙ্গলবার অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হয়। তাতে হেরে গেছেন প্রধান উপপ্রধান। রাজ্যে পালাবদলের পর অধিকাংশ পঞ্চায়েত দখল করে বসেছিল বিজেপি জোট । কিন্তু ক্ষমতায় বসার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে পাহাড় সমান দুর্নীতি সংঘটিত হতে থাকে। তাতে অধিকাংশ পঞ্চায়েত গুলিতে প্রধান,উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছেন খোদ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ। এবারও পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধানের উপর ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনাস্তা আনলেন পঞ্চায়েতের আট জন সদস্য ও সদস্যা।
এই ঘটনা মঙ্গলবারের উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকের ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা। পাশাপাশি তারা নতুন প্রধান ও উপপ্রধানের নাম প্রস্তাব করেছে।জানা গেছে, ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতটি এগারো জন সদস্য ও সদস্যা নিয়ে গঠিত। ত্রিস্তরীয় নির্বাচনের পর বিজেপি চারটি, কংগ্রেস পাঁচটি এবং নির্দল দুইটি আসনে জয় লাভ করে। নির্বাচিত বিজেপির সদস্যগন নির্দলীয় দুজন সদস্যকে সাথে নিয়ে পঞ্চায়েত গঠন করে। পঞ্চায়েত দখল করার পর বিজেপি ও নির্দল জোট ফুলবাড়ি পঞ্চায়েতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজিরা বেগম ও উপপ্রধান মিন্টু নাথের দুর্নীতির বাড়বাড়ন্তে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন পঞ্চায়েতের বাকি সদস্য-সদস্যাগণ। অবশেষে চলতি বছরের জুন মাসে লিখিত আকারে প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ছয় জন পঞ্চায়েত সদস্য।
মঙ্গলবার দুপুর বারোটা নাগাদ ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে হয় অনাস্থা ভোট। উপস্থিত ছিলেন জেলার পঞ্চায়েত অফিসার গৌতম দাস, কদমতলা ব্লকের পঞ্চায়েত অফিসার সুজিত দাস সহ ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব। উনাদের উপস্থিতিতে এগারো জন পঞ্চায়েত সদস্য সদস্যার মধ্যে পুরানো ছয়জনের সাথে আরো দুজন সদস্য সামিল হয়ে মোট আট জনই প্রধান উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার ভোট দেন। উপস্থিত আধিকারিকরা সমস্ত প্রক্রিয়া লিপিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জেলার পঞ্চায়েত অফিসার নিয়ে যান।পাশাপাশি জেলার পঞ্চায়েত অফিসার গৌতম দাস জানান, পরবর্তী সময়ে প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনী প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এদিকে এক সাক্ষাৎকারে পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, আগামী দিনে জেলার পঞ্চায়েত অফিসারের তরফ থেকে যে নোটিশ জারি করা হবে সেই নোটিশের পর থেকে নতুন প্রধান ও উপপ্রধান নির্ণয় করবে পঞ্চায়েত সদস্যরা।

