নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,২১ সেপ্টেম্বর।। কৃত্রিম গর্ভধানে গত এক মাসে জন্ম নিয়েছে ১৫৮টি স্ত্রী প্রজাতির বাছুর। ফলে, একথা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের দিশায় এগিয়ে চলেছে ত্রিপুরা।
ভারতে গরুর সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু তাদের অবহেলার কারণে ভারতে শুধু দুধ উৎপাদনই হ্রাস পায়নি বরং দেশীয় প্রজাতির গরুও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই, ভারত সরকার দেশে গবাদি পশুর বংশ বিস্তারের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং সরকারের প্রচেষ্টাগুলি ভাল ফল দিচ্ছে। ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও একই রকম পরিণাম নজরে এসেছে যেখানে সরকার এ ব্যাপারে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল কামিনী দেববর্মা তেলিয়ামুড়ার বাসিন্দা স্ত্রী প্রজাতির বাছুরের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তার গরু বছরের পর বছর শুধু পুরুষ বাছুরের জন্ম দিচ্ছিল। কামিনীর পরিবারের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক না হওয়ায় পুরুষ বাছুর পালন করা আর্থিক দিক দিয়ে অসম্ভব ছিল। অবশেষে, তিনি ত্রিপুরা সরকারের ‘মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গোধন প্রকল্প’-এর সুবিধাভোগী হিসেবে নিজেকে তালিকাভুক্ত করেন এবং গত ১৬ সেপ্টেম্বর তার গাভী একটি মেয়ে বাছুরের জন্ম দেয়।
ত্রিপুরায় কৃত্রিম গর্ভধান প্রকল্পটি ব্যাপকভাবে ‘মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গোধন প্রকল্প’ নামে পরিচিত। ত্রিপুরায় এই প্রকল্পের ৯৭ শতাংশ সাফল্যের প্রমাণ মিলেছে। তা গ্রামীণ ত্রিপুরায় দুধভিত্তিক অর্থনীতির বিকাশের পথ সুগম করেছে। গরুর সংখ্যা বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য নিয়ে গত বছর এই প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল ত্রিপুরার সামগ্রিক দুধ উৎপাদন উন্নত করা।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, গত এক মাসে ১৬৩টি বাছুরের জন্ম হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫৮টি স্ত্রী প্রজাতির বাছুর, বাকি পাঁচটি পুরুষ প্রজাতির বাছুর।কৃত্রিমভাবে গর্ভধানের মাধ্যমেই ওই ১৬৩টি বাছুরের জন্ম হয়েছে। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন বেকার বসে থাকার বদলে গবাদি পশু পালনে স্বরোজগারী হওয়া সম্ভব। আজ গবাদি পশু পালন অর্থনীতির নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে।