নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ১৯ সেপ্ঢেম্বর৷৷ বর্তমান পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষ দ্বারা স্ত্রী আক্রান্তের খবর নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা৷ প্রায় প্রতিদিনই পত্রিকা খুললে এই ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনা চোখে পড়ে৷ আর তার ঠিক বিপরীত ঘটনা পরিলক্ষিত হলো উদয়পুর মহকুমা রাধাকিশোরপুর থানার অন্তর্গত ১নং ফুলকুমারী ব্রহ্ম ছড়া রোড এলাকায়৷ এই এলাকার রং মিস্ত্রি হিসেবে পরিচিত সুভাষ পোদ্দার৷ সুভাষ বাবু অভিযোগ করেন আজ চার পাঁচ দিন আগে স্ত্রী নমিতা পোদ্দারের নামে রাধাকিশোরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
স্ত্রী নমিতা পোদ্দার উদয়পুর জীবনবিমা নিগম অফিসের এজেন্ট৷
নমিতা প্রায়শই অধিক রাতে ফরেন লিকার খেয়ে মাতাল অবস্থায় বাড়ি ফেরেন বলে অভিযোগ করেন সুভাষ পোদ্দার৷ এই মাতাল অবস্থায় উন্মত্ত তান্ডব চালিয়ে আসছে স্ত্রী নমিতা৷ নমিতার এই অভব্য আচরণের প্রতিবাদ করলে অমাবস্যার অমানিশা নেমে আসে স্বামী সুভাষের উপর৷ ৩৩বৎসরের দাম্পত্য জীবনের মধ্যে গত ছয় মাস আগে জীবন বীমা নিগমের এজেন্ট নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে মদ্যপ চরিত্র লক্ষ্য করা যায়৷ এই নিয়ে সাংসারিক জীবনে অশান্তি লেগেই থাকে৷ এই উন্মত্ত জীবন যাপনের প্রতিবাদ করলেই নমিতা ও তার বড় বোন রীতা দে সুভাষের উপর অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়৷ সুভাষ বাবু অভিযোগ করেছেন উনার জ্যাঠালি রীতা সতেরো বছর ধরে বিলোনিয়া স্বামীর বাড়ি থেকে পরিত্যক্তা স্ত্রী হিসেবে সুভাষ বাবুর বাড়িতেই থাকার জন্য যায়গা করে দিয়েছিলেন৷
এই জ্যাঠালি রীতার চারিত্রিক অধঃপতন ইদানিং লক্ষ্য করেন ভগ্ণি পতি সুভাষ৷ বাড়িতে প্রায়শই অচেনা পুরুষের আনাগোনা দিন দিন উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে৷এই সব নিয়ে স্ত্রী নমিতাকে সুভাষ প্রশ্ণ করলে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়৷ স্ত্রী নমিতা ও জ্যাঠালি রীতার চারিত্রিক অধঃপতন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রায়শই গ্রামের প্রধান সহ মাতববরদের নিয়ে সালিশি সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ নীট ফল শূন্য৷ স্ত্রী নমিতা ও জ্যাঠালি রীতা সুভাষ পোদ্দারকে বাড়ি থেকে তিন মাস আগে বাড়ি থেকে বের করে দেন৷ সুভাষ বাড়ির যায়গা স্ত্রী নমিতার নামে লিখে দেওয়ার পর থেকেই স্বামীর প্রতি নির্যাতনের মাত্রাতিরিক্তি বেড়ে যায়৷এ বিষয়ে সুভাষ পোদ্দার আর কে পুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷পুলিশ বিশ্বকর্মা পুজোর অজুহাতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেননি৷
আজ সকালে স্ত্রী নমিতা আবার দা দিয়ে সুভাষ পোদ্দারকে প্রাণে মারার হুমকি দিলে ,সুভাষ পুনরায় আর কে পুর থানায় অভিযোগ করেন৷ আর কে পুর থানার পুলিশ সুভাষ পোদ্দারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে সুভাষ পোদ্দারের প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন সুভাষ পোদ্দার৷ এখন দেখার আর কে পুর থানার পুলিশ কি ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন সুভাষ পোদ্দারকে তার স্ত্রী ও জ্যাঠালির হাত থেকে বাঁচাতে৷ এই বিষয়ে উদয়পুর মহকুমা রাধাকিশোরপুর থানার অন্তর্গত ১নং ফুলকুমারী ব্রহ্ম ছড়া রোড এলাকায় ছি: ছি: রব উঠেছে৷