Magistrate level investigation order : সোনামুড়া থানার লকআপে আসামীর মৃত্যুর ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ সেপ্ঢেম্বর৷৷ সোনামুড়া থানার লকআপে এক অভিযুক্তের মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ২০ সেপ্ঢেম্বর থেকে ৩০ সেপ্ঢেম্বর সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওই ঘটনা সম্পর্কে কারোর কিছু জানা থাকলে নাম নথিভুক্ত করার জন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ও সমাহর্তা৷


প্রসঙ্গত, সোনামুড়া থানার পুলিশ বুধবার গভীর রাতে বলারঢেফা এলাকার বাসিন্দা জামাল হুসেনকে পূর্ব মামলায় গ্রেফতার করেছিল৷ এ-বিষয়ে জামালের পরিবারের অভিযোগ, কোনও অসামাজিক কাজের সাথে তার যোগাযোগ ছিল না৷ কয়েক বছর ধরে তিনি দুবাইতে রয়েছেন৷ সেখানেই রোজগার করেন৷ জামালের বোনের দাবি, তাঁর ভাই গত ৫ সেপ্ঢেম্বর দুবাই ফিরে যাওয়ার জন্য টিকিট ক্রয় করেছিলেন৷ কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর সেখানে যাওয়ার জন্য সমস্ত কিছুই প্রস্তুত ছিল৷ কিন্তু বুধবার রাতে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়৷ তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বুধবার বাড়ি থেকে জামালকে মারধর করে থানায় নিয়ে গেছে৷ পরেরদিন সকালে দেখা করতে চাইলে পুলিশ অনুমতি দেয়নি৷ তিনি বলেন, জামালের জন্য সকালে খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম৷ কিন্তু পুলিশ দেখা করার অনুমতি দেয়নি৷ পরে খবর দিয়েছে, থানার লকআপে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে৷


ওই ঘটনায় সিপাহিজলার পুলিশ সুপার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, বুধবার রাতে জামাল হুসেনকে গ্রেফতারের পর মেলাঘর এবং সোনামুড়া হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে৷ এর পর তাকে থানার লকআপে রেখেছিল পুলিশ৷ তিনি বলেন, জামাল ডাকাতি এবং এনডিপিএস মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন৷ পূর্বের মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে৷ তাঁর দাবি, শরীরিক অসুস্থতায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷ কারণ, বুধবার রাতেই বুকে ব্যথা হচ্ছে বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন জামাল৷ তাই, তাকে ওষুধ দিয়েছিল পুলিশ৷ কিন্তু পরের দিন সকালে লকআপের ভেতরেই তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে৷জামাল হুসেনের মৃত্যুর বিষয়ে ত্রিপুরা সরকার ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে৷ সিপাহিজলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ও সমাহর্তা এস বন্দোপাধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করছেন৷